বাংলা পত্রিকা: দুশ বছর আগে ও পরে

।। মো. মেহেদী হাসান ।।
সংবাদ কোনো বস্তু নয়, দৃষ্টিভঙ্গি মাত্র:
২৫ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে মার্কিন সেনা অ্যারন বুশনেল ইসরায়েল দূতাবাসের সামনে নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আত্মহুতি দেন। গাজায় নির্বিচারে ফিলিস্তিনি হত্যার নিষ্ঠুরতার চাপ তিনি নিতে পারছিলেন না। তাঁর আত্মহুতির পর মার্কিন ও ব্রিটিশ পত্রিকাগুলো লিখতে শুরু করলো, ‘বুশনেল একজন মানসিক অসুস্থ ব্যক্তি’, কিংবা ‘বুশনেল ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে সৈনিকের নিরপেক্ষতার শপথ ভঙ্গ করেছেন।’ আমরা যে উত্তরাধুনিক বাস্তবতায় বেঁচে আছি সে বাস্তবতায় প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিকতায় বস্তুুনিষ্ঠতার প্রসঙ্গটি হাস্যকর হয়ে গেছে। এখন পত্রিকাগুলো নিজের মনোভাব প্রকাশ করে মাত্র, সে সঙ্গে অন্যের সম্মতিও আদায় করে নেয়। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের একবছরে সাদা মানুষের প্রাণের মূল্য আমরা বুঝতে শিখেছি। সাদাদের মধ্যেও আবার ইউরোপের সাদা আর রাশিয়ার সাদার পার্থক্যও আমাদের সংবাদপত্রগুলো শিখিয়েছে।
দুশ বছর আগে সংবাদপত্র:
আমরা আজ থেকে ঠিক ঠিক দুশ পাঁচ বছর আগের কথা বলতে বসেছি। শ্রীরামপুরের মিশনারিরা ১৮১৮ সালের এপ্রিল মাসে ‘দিকদর্শন’ প্রকাশ করেন। প্রথম বাংলা পত্রিকা। পরের মাসেই তাঁরা প্রকাশ করেন ‘সমাচার দর্পণ’। ইংরেজ সাহেবদের বাংলা শেখা দরকার ছিলো। সেটা ব্যবসা বাণিজ্যের কাজে লাগে। ছাপা কাগজে বিক্রেয় দ্রব্যের দাম লেখা থাকলে অনেক সুবিধা। আবার খ্রিস্টধর্ম সম্পর্কে মানুষকে অনেক জ্ঞান দেওয়াও যায় পত্রিকার মাধ্যমে। ‘দিকদর্শন’ প্রকাশের আগেই শ্রীরামপুর মিশনে সিদ্ধান্ত হয় যে, এটা রাজনৈতিক প্রসঙ্গ এড়িয়ে চলবে, স্থানীয় প্রসঙ্গ অল্প-স্বল্প প্রকাশ করবে। এতে বোঝা যায়, দেশি ভাষায় বিদেশি প্রভুর এ পত্রিকা কেমন হবে! এতে ইউরোপীয় নতুন আবিষ্কারের প্রচুর সংবাদ থাকতো। তবে রাজনীতির মতোই হিন্দু-সমাজের অভ্যন্তরীণ বিষয়ও এড়িয়ে চলা হতো বিতর্ক এড়ানোর জন্য। তাই কম্পাস, বেলুন, বাষ্পীয় জাহাজ, ভারতের গাছপালা , দেশবিদেশের ভুগোল, ভারতের উ্ৎপন্ন দ্রব্য বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হতো। প্রকাশিত হতো প্রচুর চিঠি-পত্র। তাতে নানান সমস্যা লেখা থাকতো। প্রধানত ইংরেজি সংবাদের বাংলা অনুবাদ থাকতো। সে অনুবাদ বোঝা সহজ ছিলো না। তার নমুনা কিছু কিছু আমরা দিলাম।
‘সমাচার দর্পণে’ সেকালের অনেক সামাজিক তথ্য আমরা পাই। যেমন, আমরা সাধারণ ভাবে মনে করি উনিশ শতকে মুসলমানরা দারুণভাবে পিছিয়ে পড়ে। কিন্তু ‘সমাচার দর্পণ বলছে অন্য কথা। উনিশ শতকের শুরুর দিকে হিন্দু ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে মুসলমান ছেলে-মেয়েরাও পড়ালেখা করতো। সংখ্যায় কম হলেও পড়ালেখা চলতো। শুরুর দিকে কোম্পানির ওপর এদেশীয়দের পড়ালেখার জন্য এক লক্ষ টাকা ব্যয়ের বাধ্যবাধকতা থাকলেও কোম্পানি এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয় নি। তবে সে কাজটি করেছিলো মিশনারিরা। এ রকম মিশনারীদের পরিচালিত স্কুলের পরীক্ষা সম্পর্কে ‘সমাচার দর্পণ’ ১৮২০ সালের ২৭শে ডিসেম্বর লেখে: “১৯ ডিসেম্বর শুক্রবার দিবা দশটার সময় শহর কলিকাতার গৌরীবেড়ে বালিকাদের বিদ্যা পরীক্ষা হইয়াছিল। এই পরীক্ষাতে হিন্দু মুসলমানের বালিকা সর্বশুদ্ধা প্রায় দেড়শত পরীক্ষা দিয়াছে।” এ সংবাদ আমাদের আজকের দিনে চমৎকৃত করে। সাধারণ ধারণাকে অমূলক করে এটা প্রমাণ করে যে, মুসলমান মেয়েরাও পড়ালেখার জন্য স্কুলে যেতো উনিশ শতকের শুরুর দিকে। তবে মুসলমানদের এ সংখ্যা পরে কমতে থাকে। তারও কারণ আছে নিশ্চয়ই। সেটা অন্য আলোচনার বিষয়।
দার্পণিক পত্রিকার সাফল্য:
‘সমাচার দর্পণ’ সফল হয়েছিলো কারণ নতুন শাসন ব্যবস্থার খবর পেতো মানুষ এতে। শিক্ষিত খুব অল্প সংখ্যক মানুষ ছিলো এর পৃষ্ঠপোষক। রামমোহন-দ্বারকানাথের মতো ব্যক্তিত্বরা ছিলেন এর গ্রাহক-পৃষ্ঠপোষক। দুটো বিষয় নিয়মিত থাকতো। যেমন, ‘কোম্পানীর কাগজ’ ও ‘জমি বিক্রির ইস্তাহার’। এগুলোর এখন মূল্য নেই কিন্তু সে কালে এসব ছাপার জন্যে এর জনপ্রিয়তা ছিলো তুঙ্গে। আর একটা বিষয় ছিলো দেশি বিক্রেতারা সরকারের কাছে বিক্রির জন্যে পণ্যের দর চেয়ে বিজ্ঞাপন দিতো। ‘সমাচার দর্পণ’ শুরু থেকে ছিলো চার পৃষ্ঠার একটা টেবলয়েড়। মোট ছাপা হতো ২০০০ শব্দের সম-পরিমাণ নানাবিধ লেখা। শুরুতে তিন কলামে ও পরে দুই কলামে ছাপা হতো বিজ্ঞাপন ও সংবাদগুলো। শুরুতে শিরোনাম ও লেখা সবই একই আকারের হরফে ছাপা হতো। আমাদের আলোচনায় সে সময়ের কয়েকটি সংবাদের বিষয়ের মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতার প্রবণতা দেখার চেষ্টা করা হবে।
‘সমাচার দর্পণ’ সম্পাদনা করতেন মার্শম্যান। তিনি বাংলা জানতেন। তবে সে জানায় সম্পাদনা করার মতো প্রাজ্ঞতা ও দক্ষতা ছিলো না। এ জন্যে তাঁকে নির্ভর করতে হতো সংস্কৃতজানা প-িতদের ওপর। এটা ছিলো পত্রিকাটার একটা সংকট। পণ্ডিতরা ছুটি নিলে পত্রিকা প্রকাশ বন্ধ হয়ে যেতো। ১৮১৮সালের ৫ই জুলাই একজন পণ্ডিতের মৃত্যুতে ‘সমাচার দর্পণ’ লেখে : “আমরা অতিশয় ক্ষেদপূর্ব্বক প্রকাশ করিতেছি যে ১৪ আষাঢ় বৃহস্পতিবার রাত্রি চারি ঘন্টার সময় আমাদের আফিসের এক জন পণ্ডিত তারিণীচরণ শিরোমণি ক্ষয়রোগে পরলোকগত হইয়াছেন। তিনি সংস্কৃত ব্যাকরণ ও সাহিত্যাদি শাস্ত্রে অতিশয় ব্যুৎপন্ন এবং ইঙ্গরেজি ও হিন্দী ও বাঙ্গলা ও নানাদেশীয় ভাষা ও লিপিতে বিদ্বান ছিলেন। গত চারিবৎসরের মধ্যে আমারদের সমাচার দর্পণ কি ছাপাখানার অন্য ২ পুস্তকে যে সকল শব্দবিন্যাসের রীতি ও ব্যঙ্গোক্তি দ্বারা লিখনের পরিপাট্য তাহা কেবল তৎতর্ত্তৃক প্রকাশিত হইয়াছে।” এ সংবাদের আংশিক উদ্ধৃতি থেকে বোঝা যায় পণ্ডিতদের ওপর কী পরিমাণ নির্ভরশীলতা গড়ে উঠেছিলো।
দার্পণিক সংবাদে নারী ও অন্যান্য:
‘সমাচার দর্পণে’ নারী নির্যাতন বিষয়ক সংবাদ ছাপা হতো দেখতে পাচ্ছি। এমনকি ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের সংবাদও ছাপা হতো। এক মুসলমান যুবক তার স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করেছে। এ বিষয়ে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সমাচার দর্পণ ১৮ই এপ্রিল ১৮৩৫ সালে লিখছে: “গত বুধবারে মীর নোরালি ( আমার ধারণা নামটা হবে মীর নুর আলী) নামক একজন অতি ভয়ঙ্কর মোসলমান কোর্টে এই অপরাধ বিচারিত হইল যে, সে বন্যু বিবি নামে আপন স্ত্রীকে এক আঘাত করে তাহাতে স্ত্রীর প্রাণ সংশয় হয়। ঐ স্ত্রীই এই মোকদ্দমার প্রধান সাক্ষী। তাহার গলদেশে ও স্কন্ধে ও বাহুতে অস্ত্রাঘাতের অনেক চিহ্ন দেখা গেল। পরে অন্যান্য স্ত্রীরা সাক্ষ্যের দ্বারা ঐ অভাগা স্ত্রীর কথা সপ্রমাণ করাতে জুরীর সাহেবরা পোয়া ঘন্টা পর্য্যন্ত বিবেচনা করিয়া আসমীকে দোষী করিলেন। পরে জজসাহেব তাহাকে যাবজ্জীবন দ্বীপান্তরে প্রেরণ দ-াজ্ঞা করিলেন। তাহা ঐ ব্যক্তি ভ্রমবশে বুঝিল যে আমার প্রাণদ-ের হুকুম হইল তাহাতে উচ্চ স্বরে কহিল যে ভাল আমার জীবদ্দশায় থাকন অপেক্ষ বরং মরণ ভাল। পরে শ্রীযুত জজ সাহেব তাহাকে কহিলেন ঔ স্ত্রী যদি মরিত তবে তোমার কল্য প্রাণদণ্ডের হুকুম হইত।” সহমরণ, স্ত্রী হত্যা জাতীয় সংবাদ ছাপা হতো প্রচুর। ১৮ই এপ্রিল ১৮৩৫ তারিখে প্রকাশিত ‘বোম্বাই দর্পণ’ থেকে অনূদিত একটি সংবাদ ছিলো এমন : “বোধ হয় মধ্যহি দেশে ঐ কুব্যবহার অদ্যাপি চলি। এই অভাগা নিরপরাধি বালিকাদিগকে এই রূপে হত্যাকরণ ও জীবিত পুড়িয়া মারণ এবং গঙ্গাসাগরে বা নিক্ষেপকরণই ইত্যাদি কুব্যবহার সকল প্রকার। শেষোক্ত দুই কুব্যবহার ভাগ্যক্রমে গবর্ণমেন্ট নিবারণ করিয়াছিলেন কিন্তু ইঙ্গলন্ডীর অধিকারের মধ্যে বা হত্যা আর হইতেছে না কেবল কয়েকজন স্বাধীন রাজার অধিকারের মধ্যে হইতেছে।” এ সংবাদ থেকে বোঝা যায়, তখন ভারতবর্ষের স্বাধীন অংশগুলোর ( ডালহৌসির অধীনতামূলক মিত্রতা স্মরণ করে ) ক্ষেত্রে ১৮২৯এর সতীদাহ প্রথা নিবরাণ কার্যকর হয় নি।
বিয়ের প্রচুর সংবাদ ছাপা হতো ‘সমাচার দর্পণে’। সে সব সংবাদে নানা কৌতূহলোদ্দীপক তথ্য থাকতো। বৃদ্ধের তরুণী ভার্যা গ্রহণ, প্রচুর অর্থ ব্যয়ে আয়োজন হতো সংবাদের বিষয়। যেমন, ১৮২১ সালে এক ব্দ্ধৃ ব্রাহ্মণ বিয়ে বিষয়ে বলছেন : “ তিনি কহিলেন যে প্রায় বৎসর কোষ্ঠী রাখি না ঠিক বলিতে পারি না ছেহত্তএরর মন্বন্তরের সময়ে আমার বয়স বৎসর পঁচিশ ছাব্বিশ হইবেক আর এই যে দেখিতেছ দন্তগলা পড়িয়াছে সে শুদ্ধ জলদোষের কারণ আর বেয়ে ধাতু প্রযুক্ত চুল পাকিয়াছে কিন্তু শক্তি এমত অদ্যাপি ত্রিশ পঁচিশ দ- রোজ করি। পরে ঘটকেরা কন্যার অন্যেষণো দিকে গেল মোকাম বৈদ্যবাটিতে আটার উনিশ বৎসরবয়স্কা এক কন্যা স্থির করিয়া আসিয়া কহিল ওহে মজুমদার মহাশয় তোমার ভাগ্য ভাল পরম সুন্দরী উনিশ বৎসরবয়স্কা এক কন্যা স্থির করিয়াছি অভীরা কুলিনের কন্যা ৫০০টাকা পণ দিতে হইবেক।”
‘বাষ্পের জাহাজ’ শিরোনামে একটা সংবাদে ১৮২৫ সালের ১০ই ডিসেম্বর সংখ্যায় সমাচার দর্পণ লিখছে : “আমরা অতিশয় আহ্লাদপূর্ব্বক প্রকাশ করিতেছি যে ইংগ্লন্ডদেশ হইতে বাষ্পের জাহাজ গতকল্য কলিকাতায় পঁহুছিয়াছে। এই জাহাজ তিন মাস বাইশ দিবসে আসিয়াছে কিন্তু এবার প্রথম যাত্রা অতএব বিলম্ব হওয়া আশ্চরয্য নয় যেহেতুক সকলে অবগত আছেন যে কোন কর্ম্ম প্রথম করিতে গেলে অবশ্যই তাহাতে কিছু বিলম্ব হয়। “
‘সমাচার দর্পণে প্রকাশিত সংবাদগুলো দেখে এ ধারণা করা চলে যে শুরুতে যতই মূল্যবোধ মুক্ত সংবাদ পরিবেশনার প্রতিজ্ঞা থাকুক না কেন ধনীদের বিলাসিতার সংবাদ প্রকাশে, ব্রিটিশদের নানা উদ্যোগের উচ্ছ্বসিত প্রশংসায়, গদ্যের কাঠামো ভেঙে চুরে ঔপনিবেশিক ক্ষমতা-ছকে বাঁধা পড়ায় এর কৃতিত্ব। দেবেশ রায় যথার্থ বলেন, বাংলা সাংবাদিক গদ্যেও ঘটেছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ক্ষমতার নিশ্চিদ্র প্রয়োগ। এটা ছিলো, বাংলা পত্রিকা কিন্তু এতে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির খবর থাকতো কম। তবে ইংল্যান্ড, ভারতের দাক্ষিণাত্য ও কিছু দেশীয় রাজ্যের খবর বেশি থাকতো।
‘আশ্চর্য্য ‘ খবর থাকতো আরও বেশি। আবু হেনা মোস্তফা কামাল ১৮৩০-৩১সালের পত্রিকার নমুনা থেকে উদাহরণ টেনে দেখিয়েছেন যে, সেকালে কলকাতার ধনী জমিদার, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী দেশীয় বাবুরা সন্তানের অন্নপ্রাশন, পূজা আয়োজন, বিবাহ আয়োজনের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করতেন। পত্রিকাগুলোর হেডলাইন হতো সেসব অনুষ্ঠানের সংবাদ দিয়ে। কোন বাবু কতজন গোরা অতিথি নেমন্তন্ন করে খাইয়েছেন তার সংখ্যা দিয়ে আভিজাত্য নির্ণিত হতো। তাই সংবাদপত্রগুলো এসব সংবাদে পূর্ণ থাকতো। এখন যেমন ‘কোনো নায়িকা একদিনে আটটা আম খেয়েছে’ বলে খবর বেরোয়! দুটোই পত্রিকার কাটতির জন্যে। সেকালে যেমন একালেও তেমন আরকি! বিষয় পাল্টেছে মাত্র।
পাল্টে যাবার কাল:
সংবাদপত্র এখন পাল্টে যাচ্ছে দ্রুত। ছাপার কাগজের জায়গা দখল করে চলেছে ভার্চুয়াল জগত। তখন প্রযুক্তির জোর ছিলো না। হাতে কাটা হরফে পত্রিকা ছাপতে হতো। এখন প্রযুক্তির শক্তিতে সিসার হরফও অবলুপ্ত। ভার্চুয়ালি লেখা হয়। ভার্চুয়ালি ছাপাও হয়। হরফে না শুধু সংবাদ এখন ভিডিওতে প্রকাশিতও হয়। দৈনিক পত্রিকাগুলো কাগজে ছাপা হয় কম, ওয়েবসাইটে চলে আসে। নায়িকাদের সাক্ষাতকার ছাপা হয় কম। পত্রিকার চ্যানেলে লাইভ সম্প্রচার হয়। টিভি সাংবাদিকতা আর দৈনিকের রিপোর্টিং একাকার হয়ে যাছে। সংবাদগুলো মুক্ত হয় ফেসবুকে, ইউটিউবে, টুইটারে, ইনস্ট্রাগ্রামেও হয়তো। নয়তো ব্যক্তিগত অভিব্যক্তির জোয়ারে ভেসে চলা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগে সামষ্টিক সংবাদ নিয়ে পত্রিকাঅলারা আর কী করবে! আমোদ-এর জন্যে শুভেচ্ছা।

লেখক:উপাধ্যক্ষ,গুরুদয়াল সরকারি কলেজ,কিশোরগঞ্জ।