বাখরাবাদ গ্যাসের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাত, কোটি টাকা লোপাটের গুঞ্জন

প্রতিনিধি।।
কুমিল্লায় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ৬ কর্মচারীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও নেপথ্যে বড় কেউ জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার কুমিল্লা কোতয়ালী থানার ওসি আহমেদ সনজুর মোর্শেদ জানান, বাখরাবাদ গ্যাসের সেফটি এন্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের উপ-ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মো. আবদুর রউফ কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ পর্যন্ত একজন গ্রেফতার হয়েছেন।
সূত্র জানায়, বাখরাবাদ গ্যাসের কর্মচারীসহ ৬ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে বুধবার মামলাটি দায়ের করা হয়। আসামি বাখরাবাদ গ্যাসের আউটসোর্সিংয়ের আইটি বিভাগের টেকনেশিয়ান মো. শাহপরানকে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে ৫০লাখ টাকা লোপাটের ঘটনা সামনে এলেও এ অর্থের পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা হবে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বাখরাবাদের কিছু লোকজন নিজেদেরকে কোম্পানির কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে গ্রাহকদের নিকট হতে টাকা নিয়ে গ্রাহকের জন্য কোম্পানি কর্তৃক অনুমোদিত চুলার বিপরীতে অতিরিক্ত চুলা ব্যবহারের সুযোগ দেন। এছাড়া গ্রাহকদের নিকট হতে বিভিন্ন অংকের গ্যাস বিলের টাকা আদায় করে উক্ত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের ভুয়া সিল-স্বাক্ষর জাল করে বিল বই সরবরাহ করে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরে এজাহারনামীয় আসামি বাখরাবাদ গ্যাসের আইটি বিভাগের টেকনেশিয়ান মো. শাহপরানসহ ওই বিভাগের কর্মচারী মো. মঞ্জুরুল হক ফজলে রাব্বি, নাজমুল হাসান ও অন্য আসামিরা কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে গ্রাহকদেরকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে আসছেন। তারা গ্রাহকদের থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস হতে ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য বাবদ ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। মামলায় বলা হয়, বিবাদীগণ কর্তৃক আরো টাকা আত্মসাত করা হয়েছে মর্মে জানা যাচ্ছে। আত্মসাৎকৃত প্রকৃত অর্থের পরিমাণ তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
আইটি দপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ফিরোজ আলম সাংবাদিকদের বলেন ‘এ বিষয়ে কিছু বলবো না, আপনি কিছু জানতে হলে আইন বিভাগে যোগাযোগ করেন।’
বাখরাবাদ গ্যাসের ভিজিলেন্স ডিপার্টমেন্টের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী ছগীর আহমেদ জানান, প্রাথমিকভাবে তদন্তে যাদের নাম এসেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।