ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকীতে ৬২ নারী পেলেন সেলাই মেশিন

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
শেখ মুজিবুর রহমানের বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠায় যার ভূমিকা অবিস্মরণীয়, তিনি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব; তিনিই বঙ্গমাতা। বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা এবং দূরদর্শী নির্দেশক এই মহিয়সী নারীকে বাঙালি জাতি সর্বদা শ্রদ্ধায় স্মরণ করে থাকেন।বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬২ নারী উপহার হিসেবে পেলেন সেলাই মেশিন।
রোববার (৮ আগস্ট) সকালে জেলা কালেক্টরেট  সম্মেলণ কক্ষে জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া অনুষ্ঠানে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রশিক্ষণার্থী নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেসামরিব বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠার পেছনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ভূমিকা ছিলো অবিষ্মরণীয়। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা এবং দূরদর্শি নির্দেশক। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তিনিই বিভিন্ন আন্দোলনসহ স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এবং দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রেখে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তাই এই মহিয়সী নারীকে বাঙ্গালি জাতি সর্বদা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে থাকে।
জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ভিকারুন্নিসা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি প্রমূখ। এসময় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ তাঁর পরিবারের সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করেন জেলা জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা সিবগাতুল্লাহ নূর। পরে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ৬২ জন প্রশিক্ষণার্থীর মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।