ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যতিক্রমধর্মী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী 

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রাণিসম্পদের প্রযুক্তিগত তথ্য ও বিপণন ব্যবস্থা বিস্তারের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রদর্শনী ছাড়াও সপ্তাহব্যাপী ফ্রি ভ্যাটেনারি মেডিকেল ক্যম্প, ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম, খামার স্থাপনে প্রযুক্তি বিষয়ে খামারিদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হবে বলে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ নিশ্চিত করেছেন। মেলা উপভোগ করতে বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ঘটে।
প্রাণিসম্পদ বিভাগ ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় বোডিং মাঠ সংলগ্ন জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় চত্বরে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। উন্নত খাদ্য ও পুষ্টি সরবরাহ, প্রাণি স্বাস্থ্য এবং কৃত্রিম প্রজনন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে খামারি পর্যায়ে গবাধি পশু উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই ব্যাতিক্রমধর্মী এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এসময় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ কর্মকর্তা ডা. মো. ইলিয়াসসহ প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রদর্শনীতে ছাগল, ভেড়া, বিভিন্ন প্রজাতির মোড়গ, পাখি, পার্সিয়ান সেমিফ্রান্স বিড়াল, বিরল প্রজাতির থারপারকার গরু, ডেনিস কবুতরসহ নানা প্রজাতির বিরল প্রাণি ও ডেইরি ফার্ম থেকে প্রস্তুতকৃত ঘি, পণিরসহ বিভিন্ন দ্রব্যাদি নিয়ে ২৬টি স্টল প্রদর্শিত হয়। মেলায় আগতরা জানান, সচরাচর বাড়িঘরে তারা গরু, ছাগল, ভেড়াসহ বিভিন্ন প্রাণি দেখলেও এখানে ব্যতিক্রমধর্মী প্রাণির সমাহার রয়েছে। যা থেকে মানুষ এসব পশু-প্রাণি সম্পর্কে জানতে পারবে এবং খামার স্থাপনের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি ভবিষ্যত পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। তারা প্রতি বছল এ ধরণের প্রদর্শনী আয়োজনের দাবী জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ কর্মকর্তা ডা. মো. ইলিয়াস জানান, ‘দিনব্যাপী প্রদর্শনী ছাড়াও সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচীর মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতেই এমন আয়োজন করা হয়েছে। প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রাণিসম্পদের বিভিন্ন প্রযুক্তি খামারীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে এবং প্রাণিসম্পদের বিপনন ব্যবস্থা ভোক্তা পর্যায়ে পৌছে দেয়া হবে।