মুরাদনগর সদরের সড়কের জলাবদ্ধতায় মাছ শিকার!

 

 

inside post

আমোদ রিপের্টার।।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদর এলাকায় ভরাটের ফলে অস্তিত্ব হারিয়েছে প্রায় অধিকাংশ খাল। যেগুলো কোনো মতে টিকে আছে সেগুলোরও প্রবাহ নেই। বৃষ্টিতে প্রায় তলিয়ে যায় সড়ক ও অলিগলি। বেশি বৃষ্টিতে সদর এলাকার প্রায় সবকয়টি অলিগলি ও বেশ কিছু সড়ক বড় বড় খালে রূপ নেয়। এতে করে উপজেলা সদর এলাকাবাসীর জীবনে নেমে আসে সীমাহীন দুর্ভোগ। অনেকে এই জলাবদ্ধতায় কনুই জাল ও ঠেলা জাল নিয়ে মাছ শিকারে নেমে পড়েন।

সূত্রমতে,শুক্রবার রাতে ভারী বর্ষণে পানিতে তলিয়ে যায় উপজেলা সদরের পুরো মাস্টার পাড়া। জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে এলাকার প্রায় পাঁচশত পরিবার। এই পানিতে এসে যুক্ত হয় আশ-পাশের তিনটি পুকুরের মাছ। শনিবার দিনভর পানি জমে থাকায় এলাকার প্রধান সড়কের উপরে মাছ শিকারে মেতে উঠেন স্থানীয়রা। এই দৃশ্য দেখলে যে কারো মনে হবে এটি একটি খাল। গোমতী নদীর পাড়ের মুরাদনগর কলেজ পাড়া এলাকার বদ্দার বিল থেকে মাস্টার পাড়া পর্যন্ত একটি খাল ছিল। কালের বিবর্তনে এই খালের কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি। একটি ব্রিজ থাকার কারণে বোঝা যায় এখানে একটি খাল ছিল।

স্থানীয় বাসিন্দা খলিলুর রহমান বলেন, প্রভাবশালীরা খাল দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ করায় বর্তমানে এখানে খালের কোন অস্তিত্বই নেই। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে মুরাদনগর উপজেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী মাস্টার পাড়া এলাকাসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থায়ী জলাবদ্ধতায় পরিণত হয়। জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তির জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে বহুবার। তারা শুধু উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চলছে এই বলে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেন। এভাবে চলতে থাকলে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে এই এলাকাটি। এটি সদরের অভিজাত এলাকা হওয়ার পরেও জলাবদ্ধতার কারণে কোন ভাড়াটিয়া এখন আর আসতে চান না। বছরের যে কোন সময় বৃষ্টি হলেই আমাদের পানিবন্দি হয়ে পড়তে হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, খালের উপর অবৈধভাবে ঘরবাড়ি নির্মাণ করার বিষয়টি নজরে এসেছে। যারা এসব খাল দখল করেছে আমরা তাদের একটি নামের তালিকা জেলায় পাঠিয়েছি। সেখান থেকে অনুমতি পেলে খাল উদ্ধার করা হবে।

আরো পড়ুন