একটি ধর্ষণ, গণমানুষের চিন্তাধারা — ত্বাইরান আবির
সবশেষে বলতে চাই, ধর্ষক একটা সাইকো। পুরুষাঙ্গ কোটি কোটি পুরুষেরই আছে। সমস্যা পুরুষাঙ্গে নয়, সমস্যা হচ্ছে মস্তিষ্কে। এটা ধর্ষকের সাইকোলজিক্যাল প্রবলেম। তাই তাদের বিরুদ্ধে এগ্রেসিভ ব্যবস্থা নিতে হবে। সাইকোদের বিরুদ্ধে এগ্রেসিভ না হয়ে, নারীদেরকে হীনমন্যতায় ভোগানো এবং ডিফেন্সিভ মুডে রাখার ব্যাপারটি সাইকোদেরকে ভয় পাবার শামিল। দুই চারটে মানসিক বিকারগ্রস্ত মানুষ মরলে সমস্যা নেই, কিন্তু মা-বোনরা নিজেকে, নিজের শরীর নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগলে তা দুঃখজনক। তাদের এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবার দায় পুরুষ হিসেবে আমাদের ওপরেও কিছুটা বর্তায়। আমরা থাকা সত্ত্বেও আমাদের মা-বোনরা কাদেরকে ভয় পায়? কেন ভয় পায়? কেন হীনমন্যতায় ভোগে? নিজেকে প্রশ্ন করুন। আমরা সমাজ সংস্কার অবশ্যই করবো। অশ্লীলতা দূর করবো। নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করবো। কিন্তু সবার আগে বিচার নিশ্চিত করা নিয়ে আন্দোলন করবো। শাসক যদি জালিম হয়, তাদের জন্য অরাজকতা সৃষ্টি হলে, তাদের বিরুদ্ধেও কথা বলবো। এটাই সবার অবস্থান হওয়া উচিত।
লেখক : প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক।