যে কারণে অ্যাটর্নি রাষ্ট্রীয় বেতন নিতেন না ব্যারিস্টার রফিক উল হক

আমোদ ডেস্ক।।

ব্যারিস্টার রফিক উল হক। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে থেকেও বেতন নিতেন না ব্যারিস্টার রফিক উল হক। বরং নিজের উপার্জন মানুষের সেবায় বিলিয়ে দিতেন তিনি। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জনগণের সেবকের ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। রফিক উল হকের স্মৃতিচারণ করে এসব কথা বলছেন আইনজীবীরা।   

দেশের অন্যতম সংবিধান প্রণেতা ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম বলেন, ‘ইংল্যান্ডে পড়াশোনার সময় তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। সমসাময়িক সময়ে আমরা সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস শুরু করি। অনেক দান করতেন। বিশেষ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে। ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালেও তিনি অনেক অনুদান দিয়েছেন। সেদিক থেকে তাকে একজন দানবীরও বলা যেতে পারে।’

বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, ‘তিনি একাধারে নির্লোভ, নীতিবান ও সৎ মানুষ ছিলেন। তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল থাকাকালে কোনও বেতন নেননি। অ্যাটর্নি জেনারেল থাকাকালে তিনি নিজেকে সরকার নয়, জনগণের সেবক মনে করতেন। তার মৃত্যুতে আইন অঙ্গনের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ এক অধ্যায়ের অবসান ঘটলো।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের বর্ণাঢ্য জীবন

আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন,  ‘তিনি রাজনীতি করতেন না, তবে রাজনীতিবিদদের অধিকারের প্রশ্নে সোচ্চার ছিলেন। আইন অঙ্গনে তার সঙ্গে বহুবার আমার আলাপ হয়েছে। আলাপচারিতা থেকেই জেনেছি, তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও মনেপ্রাণে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী।’

স্মৃতিচারণ করে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন,  ‘তিনি অত্যন্ত ভদ্রলোক ছিলেন। ব্যারিস্টারি শেষ করে এসে তাকে আমরা আইন অঙ্গনে রফিক ভাই বলেই ডাকতাম। তিনিও আমাদের ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করতেন।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন (আংশিক)