মেঘনার মায়াদ্বীপের মায়াবি সৌন্দর্যের হাতছানি

 

অফিস রিপোর্টার।।

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা মেঘনা নদীবেষ্টিত উপজেলা। মেঘনা নদীর নামেই নামকরণ করা হয় এ উপজেলাটি। এ উপজেলার চারদিকে ঘিরে রয়েছে মেঘনা নদীর শাখা ও তার চরাঞ্চল। এ চরাঞ্চলের একটি হচ্ছে মায়াদ্বীপ খ্যাত নুনেরটেক। এ চরে গড়ে উঠেছে স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, বাজার ও স্যাটেলাইট ক্লিনিক। গত বছর ডিসেম্বর মাসে নদীর তলদেশ দিয়ে নুনেরটেক চরাঞ্চলে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। বিদ্যুতের আলোর ঝলক আঁধার রাতে মাঝ নদী থেকে মনে হয় হাজার তারার মেলা। প্রতিদিনই বিকাল থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত হাজারও মানুষ যাতায়াত করে এ চরে। ভ্রমণ পিপাসুরা এ চরে যাতায়াত করা শুরু করেছেন ইতিমধ্যে। এই নুনেরটেক চর ছাড়াও নদীর মাঝখানে জেগে উঠেছে আরো একাধিক চর। এর মায়াময় পরিবেশ পর্যটকদের মন কেড়েছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকে মুখর হয়ে উঠেছে এলাকাটি। সোনারগাঁও যাদুঘর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরেই অবস্থিত এ মায়াদ্বীপটি। সোনারগাঁও থেকে বৈদ্যেরবাজার লঞ্চ ঘাট থেকে ট্রলার বা ইঞ্জিন চালিত নৌকায় স্বল্প খরচেই যাওয়া যায়।

 

অপর দিকে মেঘনা উপজেলার বড়কান্দা বাজার থেকেও ১৫ মিনিটে ট্রলার যোগে এ মায়াদ্বীপে যাওয়া যায়। এছাড়াও মেঘনা ব্রিজ সংলগ্ন ঘাট থেকে ১০ মিনিটে যে কোন ইঞ্জিচালিত নৌকায় মায়াদ্বীপে যাওয়া যায়। তবে যারা পরিবার পরিজন নিয়ে সোনারগাঁওয়ে বেড়াতে যান তারা এখন এ মায়াদ্বীপও অল্প সময়ের জন্য হলেও ঘুরে আসতে দেখা যায়। বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয়রা এই দ্বীপে পর্যটনশিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনার হাতছানি দেখছেন। মায়াদ্বীপে ঘুরতে আসা পর্যটকরা মেঘনা নদীতে জেলেদের রুপালি ইলিশ মাছ ধরা দেখার পাশাপাশি গ্রামঅঞ্চল থেকে হারিয়ে যাওয়া পালতোলা নৌকার সমাহার তাদের মন কেড়ে নেবে। মেঘনা নদীর ঢেউ দেখেও মুগ্ধ হবেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,এ চরাঞ্চলের মায়াদ্বীপকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করে তার সৌন্দর্য্য আরো বৃদ্ধি করলে আরো বেশি পর্যটকরা এ চরে এসে আনন্দ উপভোগ করতে পারবে।

 

মায়াদ্বীপ অথবা নুরের টেক প্রসঙ্গে স্থানীয় চালিভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা লতিফ চেয়ারম্যান বলেন, নুরের টেকটি অবশ্যই সোনারগাঁও উপজেলায় কূল ঘেঁষে পড়েছে। এই দ্বীপটি অনেকেই মেঘনার দ্বীপ বলে জানে। মায়াদ্বীপটি সোনারগাঁও ও মেঘনা উপজেলার সীমান্তে পড়েছে। তবে মায়াদ্বীপ থেকে আড়াই হাজার উপজেলাও বেশি দূরে নয়।