যেখানে অচল টাকা জীবন পায়!
সাইফুল ইসলাম সুমন।।
আপনার কাছে থাকা টাকা যখন ছিঁড়ে যায় তখন আপনি কি করেন? হয়তো ফেলে দেন, নয়তো কোথাও অযতেœ অবহেলায় রেখে দেন। কেমন হয় আপনার ছেঁড়া টাকার বিনিময়ে যদি আপনি ভাল টাকা পান। কুমিল্লায় ছেঁড়া টাকার বিনিময়ে নতুন টাকা প্রদান করেন মো. পারভেজ খান নামের এক ব্যক্তি। নগরীর মনোহরপুর সোনালী ব্যাংকের সামনে গত ১৫ বছর ধরে টাকার এই বিনিময় করে যাচ্ছেন তিনি।
জানা যায়, মো. পারভেজ খান মনোহরপুর সোনালী ব্যাংকের সামনে ছোট টেবিল দিয়ে ছেঁড়া, ফাটা, রং মিশ্রিত ও পুরাতন টাকা কেনা এবং নতুন টাকা বেচার দোকান বসান। সপ্তাহে ৫ দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে তার এই দোকান। এখানে লোকজন টাকা ভাংতি কিংবা বদল করতে আসেন।
মো. পারভেজ খান জানান, ছেড়া, ফাটা, রং মিশ্রিত ও পুরাতন টাকার বদলে তিনি ভাল টাকা প্রদান করে থাকেন। ছেঁড়া, ফাটা, রং মিশ্রিত ও পুরাতন টাকা নিয়ে নতুন টাকা পরিবর্তন করতে ১০০ টাকায় ১০ টাকা অথবা ২০ টাকা রাখেন। ছেঁড়া টাকা কেনা হয় নোটের এবং ছেড়ার ধরন দেখে। টাকার ধরন অনুযায়ী তিনি ৫০০ টাকায় ৫০, ১০০ অথবা ১৫০ টাকা রাখেন। আবার ১ হাজার টাকায় ১০০, ২০০ কিংবা ৩০০ টাকাও রাখেন তিনি।
তিনি জানান, ছেড়া, ফাটা, রং মিশ্রিত ও পুরাতন টাকা জমা করে এ টাকাগুলো তারা জমা দেন বাংলাদেশ ব্যাংকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যাংকের লোকজনদের ১ থেকে ২ শতাংশ লাভ দিয়েও তারা ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করে দেন এসব ছেঁড়া টাকা।
ছেঁড়া টাকা বদল করতে আসা খোকন ঘোষ বলেন, আমি এখানে এসে ছেঁড়া ১৭০০ টাকার বদলে ভাল টাকা নিয়েছি। এতে আমার অনেক উপকার হয়েছে। এ ছেঁড়া টাকাগুলো বদল করতে না পারলে টাকাগুলো ফেলে দিতে হত।
মো. শহিদ ড্রাইভার বলেন, অনেক সময় দেখা যায় আমাদের ছেঁড়া, ফাটা বা পুরাতন টাকাগুলো আমরা চালাতে না পারলে ফেলে দেই। কখনো কখনো এসব টাকা নিয়ে ব্যাংকে গেলে হয়রানির শিকার হতে হয়। কিন্তু এখানে এসে ছেঁড়া, ফাটা বা পুরাতন টাকার বদলে ভাল টাকা পাওয়া যায়। এতে আমরা উপকৃত হই।