সম্পাদকের শুভেচ্ছা

॥আমোদ আজ ৬৯ বছরে ॥

 

৬৯শুধুমাত্র একটি সংখ্যা নয়। আমাদের জাতীয় জীবন এবং আমোদ পরিবারের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ সংখ্যা। ৬৯-এর গণঅভ্যূত্থান না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো কিনা সংশয় থেকে যায়। এদিকে মাত্র ৬৯ বছর বয়সে আমোদ প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী এ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে তাঁর অনন্ত অসীম জীবনের যাত্রা শুরু করেন। অপরদিকে আজ আমোদ তার নিয়মিত প্রকাশনার ৬৯তম বর্ষে পদার্পণ করলো। আজকের এ আনন্দঘন দিনে আমরা মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট শোকরিয়া জানাই, পাশাপাশি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি আমোদ প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীকে।

 

১৯৫৫ সালের ৫ মে তিনি যে পত্রিকার প্রকাশনা শুরু করেছিলেন আজ আমরা তার ৬৮তম বর্ষ সমাপ্ত করে ৬৯তম বর্ষে যাত্রা শুরু করলাম।
গত শতাব্দীর ৮০’র দশকের মাঝামাঝিতে কুমিল্লার জনপ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা, সংসদ সদস্য মরহুম অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদার পত্রিকা পাঠাবার জন্য তাঁর নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণের নিকট থেকে দুই বৎসরের গ্রাহক চাঁদা আদায় করে আমোদ অফিসে পাঠিয়ে দিতেন। তখন প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক অধ্যক্ষ কালাম মজুমদারকে বলেছিলেন- গ্রাহকদের নিকট আমি আগে পত্রিকা পাঠাই তারপর টাকা নেই। আমি যদি মরে যাই অগ্রিম টাকা কিভাবে শোধ করবো। এ কথা শুনে মরহুম কালাম মজুমদার বলেছিলেন- রাব্বী ভাই আমিও মরবো আপনিও মরবেন, কিন্তু আমোদ বেঁচে থাকবে অনন্তকাল।
বিচক্ষণ এ রাজনীতিবিদের কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্য প্রমাণিত হয়েছে। ১৯৯৪ সালে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে দুইজনই ইহলোক ত্যাগ করলেও আমোদ তার পাঠককুলের ভালবাসায় আজও সদর্পে টিকে আছে। এ জন্য আমরা আবারও আমাদের সম্মানিত পাঠক ও বিজ্ঞাপনদাতাগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আমাদের অগণিত পাঠক ও বিজ্ঞাপনদাতাগণের সমর্থনে প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদকের প্রয়াণের ২৯ বছর পরও আমরা পত্রিকাটি নিয়মিত প্রকাশে সক্ষম হয়েছি। আজকাল এ আধুনিক যুগে যেখানে মুহূর্তেই পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের খবর হাতের তালুতে ভেসে উঠে, সেখানে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা পাঠককুলের ভালবাসা ব্যতীত টিকে থাকা এক প্রকার অবিশ্বাস্য ব্যাপার।
পরিশেষে আবারও এ আনন্দঘন দিনে আমরা আমাদের অগণিত পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাই।
-বাকীন রাব্বী।