সরাইলে পুত্রের হাতে পিতা খুন, মা আহত 

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
মিল মালিক থেকে ঋণ এনেও কাজে যাচ্ছিলো না পুত্র মনির। এজন্য ষাটোর্ধ বৃদ্ধ পিতা পুত্রকে কাজে যেতে বললে পিতার সাথে বাদানুবাদে লিপ্ত হন পাষণ্ড পুত্র মনির। এরই এক পর্যায়ে হাতে ধান বানার যন্ত্র (ছেহাইট) দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলেন বৃদ্ধ পিতাকে ছুট্টু মিয়াকে। স্বামীকে বাঁচাতে এসে মাও পুত্রের মারধর থেকে রক্ষা পায়নি। নারকীয় ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেল এলাকার। পুলিশ পিতৃঘাতক মনির হোসেনকে আটক করেছে।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বেড়তলা গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় ঘটে এই নারকীয়তা। নিহত ছুট্টু মিয়া (৬৫) বেড়তলা পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা। এদিকে পাষণ্ড পুত্রের আঘাতে আহত বৃদ্ধা মাতা মিনারা বেগম বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহতের পরিবার-স্বজন, স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ষাটোর্ধ বৃদ্ধ ছুট্টু মিয়ার পুত্র মনির হোসেন স্থানীঢ বেড়তলা এলাকায় একটি ধানের মিলে কাজ করেন। সে মালিকের কাছ থেকে অনেক টাকা ঋণ এনেও কাজে যাচ্ছিলো না। বিষয়টি জানতে পেরে পিতা ছুট্টু মিয়া ছেলেকে কাজে যাওয়ার জন্য বললে সে তার বাবার সাথে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। এরই এক পর্যায়ে মনির মিয়া হাতে ধান বানার (ধান থেকে চাউল প্রস্তুত) যন্ত্র (ছেহাইট) দিয়ে তার বৃদ্ধ বাবাকে আঘাত করে। এসময় পুত্রের কবল থেকে বৃদ্ধ স্বামীকে বাচাঁতে এগিয়ে এলে পাষণ্ড পুত্র মনির তার মাকেও আঘাত করা থেকে থামেনি। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে পাষণ্ড পুত্র মনির হোসেনর কবল থেকে তার বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বৃদ্ধ ছুট্টু মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন এবং বৃদ্ধা মিনারা বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসাধীন রাখা হয়। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে সরাইল থানা পুলিশ পিতৃঘাতক মনির হোসেনকে তার নিজ বাড়ি থেকেই আটক করেন। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে। নিহতের পরিবারের পক্ষে চলছে মামলার প্রস্তুতি।
সরাইল থানার পরিদর্শক (ওসি) আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘাতক মনির হোসেনকে বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’