সীমিত সামর্থ্য দিয়ে সেবার চেষ্টা করেছি- কাউছারা বেগম সুমি

 

অফিস রিপোর্টার।।
আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড মিলিয়ে সংরক্ষিত ১নং
আসনে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর কাউছারা বেগম সুমি। গত ১০ বছর কাউন্সিলর থাকাকালে সাধারণ
মানুষের সেবায় নিবেদিত ছিলেন বলে তার দাবি। সীমিত সামর্থ্য দিয়ে মানুষের সেবার চেষ্টা করেছেন।
সূত্রমতে,কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের শাসনগাছা রেলস্টেশন থেকে রেইসকোর্স, ভাটপাড়া, কালিয়াজুরী, ছোটরা, বিষ্ণুপুর, মুন্সেফকোয়ার্টার পর্যন্ত ৩টি সাধারণ ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ১নং আসন। ভোটার রয়েছেন ২৯১৩৫জন। তার মধ্যে ৩নং ওয়ার্ডটি সিটি কর্পোরেশনের সবচেয়ে বেশি ভোটার অধ্যুষিত একটি এলাকা। এ ওয়ার্ডে ১৬৪৭৪ জন ভোটার রয়েছে। এ ওয়ার্ডসমূহে আঞ্চলিক, জেলা, উপজেলা নির্বাচন অফিস, পুলিশ লাইন, কেন্দ্রীয় কারাগার, ডিসি বাসভবন, জেলা রেজিস্টার অফিসসহ অসংখ্য
সরকারি বেসরকারি অফিস অবস্থিত। এখান থেকে সংরক্ষিত আসনে ২০১২ সালে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের
প্রথম নির্বাচনে ১২জন প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন কাউছারা বেগম সুমি।
দ্বিতীয়বার ৫জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সাথে নির্বাচন করে প্রথমবারের চেয়ে তিনগুণ বেশি ভোট পেয়ে
নির্বাচিত হন তিনি। দশ বছরের টানা দায়িত্ব পালনে তার সততা এবং পরিশ্রমের কথা ঐ এলাকার সাধারণ মানুষের
কাছে সমাদৃত। দলমত নির্বিশেষে সকলের কাজ করেন তিনি। ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির সময় তিনি জীবনবাজি
রেখে কাজ করেন। দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়া থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবা,
ভ্যাকসিন কার্যক্রমসহ সবধরণের কাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। করোনা রোগীর কোয়ারেন্টাইন,
খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া, চিকিৎসা দেয়া। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে নারীদের উন্নয়নে কাজ করছেন তিনি।
কালিয়াজুরীর ইস্কান্দার আলী, এরশাদ মিয়া, আনিসুর আবদুর রহমান, শহিদুল্লাহ, ইকরাম, মিজান, হাসানসহ কয়েকজন জানান, সুমি শুধু কাউন্সিলর নয়। সে আমাদের মেয়ে এবং বোন হিসেবে কাজ করে। সে কাজের কারণে এ এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়।
৩নং ওয়ার্ডের কালিয়াজুরীর বাসিন্দা কাউছারা বেগম সুমি নিউমার্কেটের সাবেক সেক্রেটারি মরহুম আবুল কাশেম সাহেবের কন্যা। তার পিতার বাড়ি, স্বামীর বাড়ি, নানার বাড়ি একই এলাকায়। ৩নং ওয়ার্ডের স্থায়ী নিবাস হলেও ১, ২ নং ওয়ার্ডেও রয়েছে তার যথেষ্ট সুনাম। তার জনপ্রিয়তা নিয়ে সে মোটেই অহংকারী হননি। আগামী ১৫জুনের নির্বাচনে জনগণের রায় নিয়ে তিনি পুনরায় বিজয়ী হবেন।
কালিয়াজুরী ভাটপাড়া, বিষ্ণুপুরের অন্তত ১০জন বাসিন্দা বলেন, নি:সন্দেহে সুমি আপা একজন ভালো মানুষ। যে কোন প্রয়োজনে তাকে পাশে পেয়েছি। সুমি আপা কিছু কিছু সেবা খুব সহজলভ্য করেছেন। তার কাছে গেলে সাথে সাথে কাজ করে দেন। তিনি ভালো ব্যবহার করেন।
কাউছারা বেগম সুমি জানান,বিশাল ওয়ার্ডে সীমিত সামর্থ্য, নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝে নিজের সর্ব্বোচ্চ শক্তি দিয়ে কাজ করেছি। নারীদের
নানা বৈষম্যের মধ্যে কাজ করতে হয়। এক ওয়ার্ডের জন্য যে বরাদ্দ দেয়া হয় তার অর্ধেক বরাদ্দ নিয়ে আমরা
তিন ওয়ার্ডে কাজ করতে হয়। এজন্য নারীরা দৃশ্যমান কিছু দেখাতে পারেন না। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা
নিয়মনীতির কারণে বহু জায়গায় আমরা পৌঁছতে পারি না। তবুও আমি আমার চেষ্টা দিয়ে এই তিন ওয়ার্ডের মানুষের ভালবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। মানুষের ভালবাসাই আমার শক্তি। আর এ ভালবাসা অর্জন করতে অনেক পরিশ্রম করেছি।
মানুষের যার যে কাজ আছে আমার সামর্থ্যরে মধ্যে করে দেয়ার চেষ্টা করেছি। মানুষের কষ্টের কথা
চিন্তা করে ১০ বছরে ওয়ার্ডের বাইরে ১০দিন অবস্থান করিনি। আশা করি আবারো
ইনশাল্লাহ ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মানুষের সর্ব্বোচ্চ ভালবাসা পাব।