সূর্যমুখীর ঝলকে বর্ণিল কুমিল্লার মাঠ

অফিস রিপোর্টার।।
সবুজ গাছে মাথা উচু করে হাসছে সূর্যমুখী। মাঠজুড়ে ছোট বড় সূর্যমুখী ফুলের হাসি। ফাগুনের ঝিরঝির হাওয়ায় ভ্রমর-মৌমাছির নাচানাচি। এক ফুল থেকে উড়ে গিয়ে আরেক ফুলে বসছে-ফুলের মধু আহরণ করছে। প্রকৃতি যেন এখানে তার রুপের পসরা সাজিয়ে বসেছে। এমন দৃশ্য এখন কুমিল্লার হোমনা উপজেলার বাতাকান্দি ইউনিয়নের মাছিমপুরে।

মাছিমপুরের কৃষক ওয়ালিদ সরকার। তিনি প্রথমবারের মত সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। তার জমিতে এখন হাসছে হলুদ সূর্যমুখী।
শুক্রবার বিকেলে তার বাগানে উপচে পড়ে দর্শনার্থীরা। ফুলের সাথে দাঁড়িয়ে মুঠোফোনে নিজেকে বন্দি করা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন দর্শনার্থীরা।
মাছিমপুর এলাকার তরুণী তনিমা দত্ত তার ছোট ভাই বোনদের নিয়ে সূর্যমুখী বাগান দেখতে এসেছেন। তিনি জানান, এই সূর্যমুখীর কারণে মাছিমপুরে এখন দূরদুরান্ত থেকে মানুষ আসেন। ছবি তুলেন। আমরাও এসেছি। চমৎকার একটি সময় কাটিয়েছি।
বন্ধুদের নিয়ে সূর্যমুখী বাগানে ছবি তুলতে এসেছেন নিলয়। তিনি জানান, খুব বড় বড় ফুল ফুটেছে সূর্যমুখীর বাগানে। আমরা বন্ধুরা বাগান দেখেছি। চমৎকার একটি বাগান।

কৃষক ওয়ালিদ সরকারের বড় ছেলে ওমর ফারুক জানান, তিনি সম্প্রতি কৃষি ডিপ্লোমা শেষ করেছেন। সূর্যমুখী বাগান করার জন্য তিনিই তার বাবা ওয়ালিদ সরকারকে উৎসাহিত করেছেন। কারণ নব্বই দিনে ফসল ঘরে তোলা যায়। স্থানীয়ভাবে সূর্যমুখীর তেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
কৃষক ওয়ালিদ সরকার জানান, তার ৭৭ শতাংশ জমিতে তিনি প্রথমবারের মত সুর্যমূখী ফুলের চাষ করেছেন। ফলন ভালো হয়েছে। তিনি আরো জানান, তার সবমিলিয়ে বিনিয়োগ হয়েছে ২১ হাজার টাকা। সবকিছু ঠিক থাকলে সূর্যমুখীর তেল বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা মুনাফা হবে বলে জানান তিনি।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ভারপ্রাপ্ত) উপ-পরিচালক শহিদুল হক বলেন, প্রথমবারের মত কুমিল্লা জেলায় ১শ ২৪ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। সে লক্ষ্য কৃষকদেরকে সার,বীজ সরবরাহ করা হয়েছে।