স্মার্ট টিসিবি কার্ডে পণ্য যাচ্ছে কুমিল্লার আড়াই লাখের বেশি পরিবারে

আবদুল্লাহ আল মারুফ, কুমিল্লা।।
স্মার্ট টিসিবি (ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) কার্ডের মাধ্যমে সরাসরি সরকারি সেবা পাচ্ছে কুমিল্লার আড়াই লাখের বেশি পরিবার। প্রতিমাসে এসকল পরিবারে যাচ্ছে সরকারের বিশেষ সুবিধা ভতুর্কি মূল্যে টিসিবির পণ্য।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রতি মাসে কুমিল্লা জেলায় এই স্মার্ট টিসিবি কার্ডের উপকারভোগী- দুই লাখ ৬৪ হাজার ৭৪৭ জন। ১৩ আগস্ট কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ও উপজেলা পর্যায়ে উপকারভোগীর মাঝে ভতুর্কি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই মার্ডে জনপ্রতি ৫ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল ও ২ লিটার সয়াবিন তেল দেওয়া হচ্ছে। এই প্যাকেজে চাল ৩০ টাকা করে ৫ কেজি ১৫০টাকা, সয়াবিন তেল ২লিটার ২০০ টাকা ও মসুর ডাল ২কেজি ১২০টাকা। প্রতিজন উপকারভোগীর বিপরীতে একটি প্যাকেজের মূল্য ৪৭০ টাকা। কুমিল্লা জেলায় ১৭টি উপজেলা, ৮টি পৌরসভা, একটি সিটি কর্পোরেশন ও ১৯৬টি ইউনিয়নে টিসিবি’র কার্যক্রম চলমান আছে। কুমিল্লায় ২১৫ জন ডিলারের মাধ্যমে সারা জেলায় এ কার্যক্রম চলছে।
এই মাসে এখন পর্যন্ত ৩৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ পণ্য বিতরণ শেষ হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে বাকি পণ্য উপকারভুগীদের মাঝে বিতরণ শেষ করা হবে।
কুমিল্লার সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের আলেখারচর গ্রামের উপকারভুগী মোজাম্মেল হক বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে কৃষি কাজ করে আর সংসার চলছিল না। পরে চেয়ারম্যান অফিসে গিয়ে টিসিবি কার্ড করি। এখন প্রায় অর্ধেক দামে জিনিসপত্র পাচ্ছি। অন্তত ছেলে মেয়ের পড়াশোনা চলছেন।
বরুড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের নলুয়া চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিয়া বেগম জানান, তেলের দাম বাড়ায় চিন্তায় পড়ে গেছিলাম। কিন্তু টিসিবি কার্ডে তেল পাচ্ছি। তবে সকল জিনিসপত্র আরেকটু বাড়িয়ে দিলে ভালো হতো। অনেকের পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনেক বেশি। তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, জাতীয়ভাবে সারাদেশে এই কার্যক্রম চলছে। উপকারভোগীর সংখ্যা নির্ধারিত। যদি সরকারিভাবে আরও সংখ্যা বাড়ায় তাহলে আমরা অবশ্যই তা নিয়ে কাজ করবো।