নগরীতে রঙিন পাখির মেলা

 

মহিউদ্দিন মোল্লা ।।
কুমিল্লা নগরীতে বাড়ছে সৌখিন পশু ও পাখি পালনকারী। সাথে রয়েছে অ্যাকুরিয়ামে মাছ চাষ। সচেতনদের মতে,পশু পাখির প্রতি মানুষের ভালোবাসা সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকেই রয়েছে। এতে তরুণ সমাজ মাদক, ভার্চুয়াল ভাইরাসসহ খারাপ কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবে।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুমিল্লা নগরীতে ১০বছর আগে দুইটি পাখি বিক্রির দোকান ছিলো। বর্তমানে তা ১২টির বেশি। নগরীর নিউ মার্কেট, চকবাজার, নজরুল এভিনিউ ও ছোটরা এলাকায় রয়েছে এসব দোকান। ছোটরায় রয়েছে লাকী বার্ড হাউজ নামের একটি দোকান। আবেদ হোসেন ও তার পিতা জাহাঙ্গীর হোসেন দোকানটি পরিচালনা করেন। দোকানের খাচায় দেখা যায়,রঙিন পাখির মেলা। কিচিরমিচির শব্দে মুখর চারপাশ। অ্যাকুরিযামে বর্ণিল মাছ ঘুরে বেড়াচ্ছে। খরগোশকে দেয়া হচ্ছে সবুজ ঘাস।
আবেদ হোসেন বলেন, তার পাখি পোষার খুব শখ ছিলো। বাসায় কবুতরসহ অন্যান্য পাখি পালতেন। ১০বছর আগে ছোটরায় পাখির দোকান দেন। তার নিকট ২৫প্রজাতির পাখি রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য-লাভ বার্ড,ককোটেল,জাভা.বাজিগর,ডায়মন্ড ঘুঘু ও ঘুঘু। কবুতরের মধ্যে রয়েছে গিরিবাজ,সিরাজ,বিউটিসহ বিভিন্ন প্রজাতি। রয়েছে গোল্ডফিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। আরো আছে কোয়েল ও খরগোশ। রাজশাহী, বগুড়া, খুলনা ও কুষ্টিয়া থেকে তারা পাখি কিনে আনেন।


ক্রেতা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল এলাকার সাকিবুল হাসান রাকিব বলেন,অ্যাকুরিয়ামের জন্য মাছ কিনলাম। বাসার ছোটদের শখ মেটাতে এটা কিনতে হলো।
কাপ্তান বাজারের বাসিন্দা তরুণ আহসান শাহরিয়ার বলেন, তিনি বাজরিগর পাখি পালন করেন। পাখির কিচিরমিচির শব্দে তার ঘুম ভাঙ্গে। সকালের এই বিষয়টি তার দারুণ লাগে।
কুমিল্লার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জহিরুল হক দুলাল বলেন,গ্রামে মানুষ এখনও তার প্রয়োজনে পশু ও পাখি পালন করেন। নগরীতে সেই সুযোগ কম। অনেকে শখ করে খাচায় পাখি ও অ্যাকুরিয়ামে মাছ চাষ করে। এতে তারা আনন্দ পায়। এটিকে সুষ্ঠু বিনোদনের একটি মাধ্যমও বলা যেতে পারে। তবে এটা সচেতনভাবে করা প্রয়োজন, যাতে পশু পাখির ক্ষতি না হয়,কিংবা এর থেকে কেউ আক্রান্ত না হয়।
কুমিল্লা জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল আবেদীন বলেন,অনেকে বাসায় কবুতর, খরগোশ ও অ্যাকুরিয়ামে মাছ চাষ করেন। এটা তাদের আনন্দিত করে।