৩২৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বরখাস্ত অধ্যক্ষ !

১৬ বছর পর পদে ফিরলেন

প্রতিনিধি ।
১৬ বছর আগে কুমিল্লা দেবিদ্বারের মোহাম্মদপুর সেরাজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন আব্দুস সাত্তার। সে সময় এ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে ৩২৬ টাকা আত্মসাতের। অভিযোগে অধ্যক্ষ পদ থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগটি মিথ্যা দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলাটি লড়েন দীর্ঘ ১৫বছরের বেশি সময়। উচ্চ আদালত তাকে অধ্যক্ষ পদে পুনর্বহালের রায় দেয়। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) কলেজে স্ব-পদে ফিরেছেন তিনি। ১৬ বছর পর কলেজ ক্যাম্পাসে আসেন আব্দুস সাত্তার। তাকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। অধ্যক্ষের আগমন উপলক্ষে দোয়া আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, ২০০৭ সালের মোহাম্মদপুর সেরাজুল হক কলেজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অধ্যক্ষ পদ থেকে আব্দুস সাত্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। অভিযোগের ভিত্তিতে তৎকালীন দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত একটি কমিটি গঠন করেন। দেবিদ্বার জোবেদা খাতুন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ মাসুদ পাখী আহবায়ক, জাফরগঞ্জ মীর আব্দুল গফুর কলেজের অধ্যক্ষ মো. বাবুল ভূইয়া ও দুয়ারিয়া এজি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূইয়াকে সদস্য করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি কলেজ তহবিলের ৩২৬ টাকা আত্মসাত করেছেন মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করে। এ অভিযোগে তাকে ২০০৯ সালে ১ জানুয়ারি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়।
ওই বরখাস্তের প্রতিবাদে আব্দুস সাত্তার আদালতে মামলা করেন। ২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারি উচ্চ আদালত আব্দুস সাত্তারকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বকেয়া বেতন- ভাতা প্রদানসহ অধ্যক্ষ পদে বহাল থাকার রায় দেন।
রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। ফের মালমাটি চলমান থেকে। চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার উক্ত আপিল খারিজ করে তার সমুদয় বকেয়া বেতন ভাতাদিসহ অধ্যক্ষ পদে পুনর্বহালের রায় বহাল রাখেন।
অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার বলেন, রাজনৈতিক প্রভাবে আমাকে বিনা দোষে হয়রানি করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত করাকালে আমার বেতন ভাতাদির অর্ধেক দেয়ার নিয়ম থাকলেও সে ভাতা বন্ধ রাখা হয়। হুমকির মুখে কুমিল্লায় বাসা নিয়ে থাকলেও সেখানেও পুলিশ পাঠানো হয়। মামলা তুলে নিতে হাইকোর্টের বারান্দা থেকে সন্ত্রাসী দিয়ে তুলে এনে নির্যাতন করেছিল।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা বলেন, আদালত আব্দুস সাত্তারকে মোহাম্মদপুর সেরাজুল হক কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগানের নির্দেশ দিয়েছেন। কাগজপত্র দেখে তাকে যোগ দিতে বলেছি।