নগরীর নতুন ভবনে দুর্ভোগের শংকা

 

inside post

কুমিল্লা নগরীর প্রায় ৯০ভাগ বাণিজ্যিক ভবনের গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। ওই ভবনের গাড়ি গুলো রাখা হয় সড়কের উপরে। এতে যাজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। নগরবাসী এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে চান। এদিকে আরো বাণিজ্যিক ভবন উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। সেগুলোর পার্কিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করা না হলে যানজটের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এনিয়ে গত সপ্তাহে সাপ্তাহিক আমোদসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সংবাদে বলা হয়, নগরীর অধিকাংশ বাণিজ্যিক ভবনের গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। সড়কে গাড়ি রাখায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। কিছু ভবনের আন্ডার গ্রাউন্ড পার্কিংয়ের স্থান থাকলেও সেখানে দোকান বসানো হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নগরীর ময়নামতি গোল্ডেন টাওয়ার, এসবি প্লাজা, ওয়াইডব্লিউসি স্কুলের বিপরীতে কিউআর টাওয়ারে। এদিকে কিছু মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ডে গাড়ি রাখার ফি বেশি হওয়ায় অনেক ক্রেতা সড়কে গাড়ি ফেলে রাখেন। এদিকে নতুন ভবন উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে নগরীর পুলিশ লাইন, ঝাউতলা, বাদুরতলা, কান্দিরপাড়, লাকসাম রোড, নজরুল এভিনিউ ও মনোহরপুর এলাকায়।

ক্রেতাদের বক্তব্য, মার্কেটের ব্যবসায়ী থেকেও লাভ করবে আবার ক্রেতা থেকে পার্কিংয়ের ভাড়ার উচ্চমূল্য নেয়া ঠিক নয়। পার্কিং স্থান না থাকায় নগরীর কান্দিরপাড়-পুলিশ লাইন হয়ে শাসনগাছা,কান্দিরপাড় থেকে রাণীর বাজার,কান্দিরপাড় থেকে টমছম ব্রিজ,কান্দিরপাড় থেকে রাজগঞ্জ। লিবার্টি মোড় থেকে জিলা স্কুল সড়কে বেশি যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে উল্লেখ করতে হয়, কান্দিরপাড় থেকে রাজগঞ্জ সড়কের কথা।

এই সড়কে বাণিজ্যিক ভবন বেশি। কিন্তু পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় সড়কে প্রায় যানজট লেগে থাকছে। এদিকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে আবাসিক ভবন গুলোর পার্কিং স্থান কম রাখা হচ্ছে। তাই গেইটের বাইরে সাইনবোর্ড ঝুলানো থাকে ‘অতিথির গাড়ি বাইরে রাখুন’। বাইরে সড়কের উপর গাড়ি রাখায় মানুষ দুর্ভোগে পড়ছেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, অপরিকল্পিত ভাবে ভবন গড়ে উঠায় নগরীর সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে। এতো ভবন প্রয়োজন রয়েছে কিনা তাও ভেবে দেখার প্রয়োজন। এতে ব্যবসায়ী,নগরবাসী সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এদিকে অনেক মার্কেটের পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় নগরবাসী যানজটের দুর্ভোগে পড়ছেন। আমরা আশা করি সিটি কর্পোরেশন এসব অনিয়ম রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশেনর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, নগরীর অনেক মার্কেটের পার্কিং ব্যবস্থা নেই। কোথাও পার্কিং স্থানের কিছু দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাকী গুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবো। এদিকে নতুন ভবন চালুর আগে পার্কিং নিশ্চিত করা হবে বলেও তিনি জানান।

আমরা মনে করি,কুমিল্লা নগরী অপরিকল্পিত ভবনের কারণে দিন দিন বিল্ডিং বস্তি হয়ে উঠছে। নতুন ভবন গুলোতে পার্কিং নিশ্চিত করা না হলে সড়কে যানজট সৃষ্টি হবে। বাড়বে মানুষের দুর্ভোগ। সবাই যানজট মুক্ত নগরী চায়,কিন্তু অনেকে নিজের দায়িত্ব পালন করতে চান না। এক্ষেত্রে ভবন মালিকরা আন্তরিক না হলে নগরী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। যানজটের কারণে তারা নিজেরাও একসময় ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এবিষয়ে জনপ্রতিনিধি, সিটি করপোরেশন,জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের নজরদারী প্রয়োজন।

আরো পড়ুন