তারুণ্যের শ্রম মেধায় আলোকিত চারপাশ

প্রতিনিধি।।
শেষ বিকেল। দিনের আলো কমে আসে। তবে তরুণ উদ্যোক্তাদের শ্রম ও মেধার উজ্জ্বলতায় আলোকিত হয়ে উঠে চারপাশ। এই দৃশ্য কুমিল্লা টাউন হল মাঠে চলা উদ্যোক্তা মেলার। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে এই ভিক্টোরিয়া ই-কমার্স ফোরামের এই মেলায় দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। উদ্যোক্তাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী বা সদ্য শিক্ষা জীবন শেষ হয়েছে। পাঁচ দিনের এই মেলায় ৫২টি স্টল রয়েছে। স্টলে সাজানো রয়েছে আনারস,আম,আমড়া ও মাছের আচার। মজার আচার দেখে আপনার জিভে জল আসবেই। রয়েছে মাটির তৈরি জিনিসপত্র। ফুল ফলের চারা। মাশরুম ও নানা পুষ্টিকর খাদ্য। বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড়।
উদ্যোক্তাদের মধ্যে একজন তরুণ মাইনুদ্দিন বাদল বলেন, কোন শিক্ষিত যুবককে ঘরে বসে থাকা উচিত নয়। আমি ১৫হাজার টাকা পুঁজি দিয়ে শুরু করেছি। দুই বছরে আমার নার্সারি ও কৃষি খামারের মূলধন ২২লাখ টাকা। কাজী আপন তিবরানী আপার অনুপ্রেরণা আমাদের পথ দেখিয়েছে।
ফোরামের অ্যাডমিন কাজী আপন তিবরানী বলেন, ২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময় সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। তখন অনলাইনে ক্যাম্পেইন করে উদ্যোক্তা তৈরির পথ দেখাই। বিভিন্নভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্যোক্তা বানানো হয়। এ রকম উদ্যোক্তাদের নিয়েই এই মেলা। এত দিন শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়ালি কাজ করতো। এপ্রথম মেলায় অংশ নিয়েছে। এখানে সাধারণ মানুষ ব্যাপক সাড়া দিচ্ছে। এটি অনেক আনন্দের বিষয়।
মেলা পরিদর্শনে আসা কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড.সফিকুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেক মানুষ ক্রিয়েটিভ। তাদের পথ দেখালে এগিয়ে যেতে পারে। ভিক্টোরিয়া ই-কমার্স এই ব্যতিক্রম কাজটি করেছে। ভাবিনি এখানে এত বড় মেলা বসবে। দেখলাম প্রত্যেক স্টলে নান্দনিক পণ্য। তাদের আইডিয়া এবং ব্যবসার পলিসিও ভিন্ন। তরুণরা এভাবে এগিয়ে এলে উদ্যোক্তার সংখ্যা বাড়বে। সমাজ এগিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য-২৬ সেপ্টেম্বর মেলার উদ্বোধন করা হয়। প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত মেলা চলছে। মেলা শেষ হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। মেলা উপলক্ষে প্রতিদিন রয়েছে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

inside post
আরো পড়ুন