কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে বাড়ি-ঘর নির্মাণের হিড়িক
আল-আমিন কিবরিয়া।
চার লেনে উন্নত হবে কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক। এ কারণে জমি অধিগ্রহণ করবে সড়কসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে লাভের আশায় জমির মালিকরা বর্তমান সড়কের দু’পাশে গড়ে তুলেছে বাড়ি-ঘর, দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
কুমিল্লা অংশে, কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক পড়েছে ৪০ কিলোমিটার। এর মধ্যে বুড়িচং উপজেলার কংশনগর বাজার থেকে মাঝে দেবিদ্বার-মুরাদনগর ও শেষে দেবিদ্বার অংশে গড়ে উঠেছে এসব ইট-পাথরে স্থাপনা।
জানা গেছে, যেসব জমির মধ্যে সড়ক পড়বে এসব জমির বর্তমান মূল্য থেকে দাম পাবে কয়েকগুণ। এর মধ্যে জমিতে বাড়ি-ঘর থাকলে পাওয়া যাবে আরো অতিরিক্ত অর্থ। এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন একটি চক্র।
ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে দুই পাশে নির্মাণাধীন স্থাপনা রয়েছে অন্তত ৩০টি। এসব স্থাপনার কোনোটা একতলা, কোনোটা দোতলা, আবার কেনোটাতে চলছে নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন। লোকজনের যাতায়াত নেই এমন জায়গাতেও হচ্ছে ছোট-বড় দোকানপাট। নির্মাণে মানা হয়নি ইমারত তৈরির নীতিমালা। আবার কোনোটার মধ্যে নেই পানি বা বিদ্যুৎ সংযোগ।
সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভারত বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে হবে এ সড়ক। কুমিল্লার ময়নামতি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ধরখার পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার দুই লেন থেকে উন্নত হবে চার লেনে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক দেবিদ্বার পৌর এলাকা দুইজন ও মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারের একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, যারা সড়কের পাশে লাভের আশায় বাড়িঘর বানাচ্ছে কাজটা ভালো হচ্ছে না। জমির দামতো পাবেই! তার পরেও লাভের আশায় এই স্থাপনা গুলো করেছে কেনো। গ্রামের দোকানপাটে কয়েকজনকে এমনটাও বলতে শুনেছি অতিরিক্ত লাভের আশায় কয়েকজন জমির শ্রেণী পরির্বতন করতে চাচ্ছে। সড়ক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়টি একটু ভালভাবে দেখা। এই সড়কটি আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সড়কটি যাতে সুন্দর ভাবে হয়।
কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক প্রশ^স্তকরণ কাজের প্রজেক্ট ম্যানেজার আসিস মুখার্জী বলেন, এখন স্থাপনা নির্মাণ করে কি লাভ। সড়ক এলাকা আমরা ভিডিও এবং নকশা করে রেখেছি। নির্দিষ্ট সময়ের পর কেউ যদি কেউ স্থাপনা নির্মাণ করে থাকে তাদের লাভ হবে না।