মুক্তি পেয়ে দাদার কোলে সাত মাসের মাহাদী

 

মহিউদ্দিন মোল্লা।।
বাবা মাসুম মিয়া ও মা শাহনাজ আক্তারের সঙ্গে মুক্তি পেয়েছে সাত মাসের শিশু মাহাদী হাসান। ১৫ দিন ধরে  তারা কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলো। আদালতের আদেশে বৃহস্পতিবার সকালে তারা মুক্তি পান।

কারাগারের সামনে গিয়ে দেখা যায়,কারাগারের ফটকে ছেলের বউ, ছেলে ও নাতির মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছিলেন রফিকুল ইসলাম। নাতিকে পেয়ে কাঁধে তুলে নেন দাদা রফিকুল ইসলাম। দাদার কাঁধে উঠে খুশি মাহাদী। এ সময় দাদা নাতির আনন্দময় মুহূর্তের দৃশ্য কারা ফটকে অপেক্ষমান সবার নজর কাড়ে।

আইনজীবীদের সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা নগরীর মনোহরপুর এলাকায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন আয়েশা আক্তার রীমা নামের এক গৃহবধূ। ওই ঘটনায় স্বামী নাসির উদ্দিন, ভাসুর মোঃ মাসুম ও ভাসুরের স্ত্রী শাহনাজ বেগমকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন রীমার বাবা।

মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম জানান, ‘গত ১৯ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন শাহনাজ আক্তার। এ সময় তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এর মধ্যে শাহনাজকে দুই দিনের রিমান্ডেও নেওয়া হয়। সাথে শিশুটিও ছিলো। এ মামলায় শিশুটির বাবা মাসুমও কারাগারে ছিলেন। বুধবার কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আতাব উল্লাহ শিশুটির মা শাহনাজ আক্তার ও তার স্বামী মোঃ মাসুম মিয়াকে জামিন ও শিশু মাহাদীকে মুক্তির আদেশ দেন।

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহজাহান জানান, ‘ আদালতের আদেশে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।’