আমড়ার পুষ্টিগুণ

আমোদ ডেস্ক।।

টক-মিষ্টি ফল আমরা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ফাইবার সমৃদ্ধ।  আমড়া মাঝারি আকারের দেশি ফল।  কাঁচা ফল টক বা টক মিষ্টি হয়, তবে পাকলে টকভাব কমে আসে এবং মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায়।  আমড়া কাঁচা ও পাকা রান্না করে বা আচার বানিয়ে খাওয়া যায়।  আমড়া জুলাই-আগস্টে বাজারে আসে আর থাকে অক্টোবর পর্যন্ত। 

 

গোল্ডেন আপেলখ্যাত আমড়ার বৈজ্ঞানিক নাম Stondia Dulcis। এটি Anacardiaceae পরিবারভুক্ত। আমড়ায় জলীয় অংশ ৮৩.২, খনিজ ০.৬, লৌহ ০.৩৯, আঁশ ০.১, চর্বি ০.১, আমিষ ১.১, শর্করা ১৫, ক্যালসিয়াম ০.৫৫ শতাংশ।

 

  • আমড়া রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে স্ট্রোক ও হৃদরোগের হাত থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে এবং শরীরের পেশী গঠনে সহায়তা করে।
  • এ ফলটিতে বিদ্যমান পেকটিন জাতীয় ফাইবার বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারসহ অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ করে শরীরকে সুস্থ রাখে।
  • আমড়া ত্বক, নখ ও চুল সুন্দর রাখতে সহায়তা করে। আমড়াতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় শরীরের রক্তের চাহিদা পূরণ হয় এবং রক্ত জমাট বাঁধতে সহয়তা করে।
  • আমড়া খেলে মুখের অরুচিভাব দূর হয় এবং ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে ঠাণ্ডা, কাশি ও কফ দূর করে এ ফলটি।

 

বিশেষজ্ঞরা বলেন, মৌসুমি ফল খেলে শরীর সুস্থ থাকে। বাজারে গেলেই এখন চোখে পড়বে জিবে জল আনা সবুজ রঙের আমড়া। দামি ফল আপেলের চেয়ে আমড়ায় প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও আয়রনের পরিমাণ বেশি। 

 

তাই বেছে নিতে পারেন আমড়া। আমড়া খেতে টক-মিষ্টি স্বাদের। এটি কাঁচা খাওয়ার পাশাপাশি সুস্বাদু আচার, চাটনি ও জেলি তৈরি করা যায়। অনেকে তরকারি হিসেবে রান্না করে খান।