কুমিল্লায় যুবলীগ কর্মী হত্যা মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামি করার অভিযোগ
আমোদ প্রতিনিধি।।
যুবলীগ কর্মী জিল্লুর রহমান চৌধুরী ওরফে গোলাম জিলানী হত্যা মামলায় কুমিল্লা মহানগর যুবলীগ আহবায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, কোতয়ালী থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আহম্মেদ নিয়াজ পাভেল ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিন্টুকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। রোববার কুমিল্লা ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন আদর্শ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তারিকুর রহমান জুয়েল।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারিকুর রহমান জুয়েল বলেন, গত ১১ নভেম্বর স্থানীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে গোলাম জিলানী নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। একটি ষড়যন্ত্রকারী গ্রæপ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে কলুষিত করার জন্য নেতৃবৃন্দকে গোলাম জিলানী হত্যাকাÐে জড়িত করেছে। এ সময় তিনি কুমিল্লার প্রবীণ আ.লীগ নেতা আফজাল খান ও তার পরিবারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আফজল খান ও তার ছেলে-মেয়ে খুনি-সন্ত্রাসীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয়দাতা। সীমাকে সংরক্ষিত আসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দয়া করে এমপি বানানোর পর সে আবারও নানা রকম অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। আমরা সন্দেহ করছি এই হত্যা মামলা সৃষ্টি করে রাজনীতির ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় কেউ উক্ত হত্যাকাÐ ঘটাতে পারে। আমরা নিহত গোলাম জিলানী হত্যাকাÐের সঠিক তদন্ত চাই।
এসব বিষয়ে সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা বলেন, নিহত গোলাম জিলানী আমার কর্মী ছিলো। খুনিরা তার স্ত্রী-সন্তানের সামনে তাকে চরম নৃসংশভাবে হত্যা করেছে। আর কারা এই খুন করেছে এটা কুমিল্লার মানুষ জানে, কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খোলে না। কিন্তু গোলাম জিলানী আমার কর্মী, আমিতো মুখ বন্ধ করে বসে থাকতে পারি না। তারা যদি নির্দোষ হয়ে থাকে, তাহলে সংবাদ সম্মেলন করে আমার পরিবার নিয়ে কথা বলবে কেন? তারা নির্দোষ হলে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করুক। আর আমার বাবার সময়তো শেষ, আমি কি করেছি সেটা তারা বলুক। সবাই জানে যিনি নিজেকে কুমিল্লার অভিভাবক দাবি করেন তার লোকেরাই এই খুন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহŸায়ক সিটি কাউন্সিলল হাবিবুর আল আমিন সাদী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান পিয়াস ও যুবলীগ নেতা রোকন উদ্দিন রোকনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য- গত ১১ নভেম্বর কুমিল্লা নগরীর চৌয়ারায় সন্ত্রাসীরা যুবলীগ কর্মী গোলাম জিলানীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। তাকে নিজের কর্মী দাবি করেন কুমিল্লার সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা। এদিকে নিহতের ভাই ইমরান চৌধুরী বাদী হয়ে যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তাদের অধিকাংশ কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপির সমর্থক।