বর্তমান সমাজ ও মানবতার মুক্তি— মো.সোলেমান

বর্তমান সমাজে একটি জিনিস খুব ভালো করে লক্ষ্য করা যায়,, সেটি হলো আমাদের সমাজের মানুষগুলো কেমন জানি আত্নকেন্দ্রীক হয়ে যাচ্ছে। এখনকার মানুষেরা মনে করে তারা শুধু তাদের পরিবারের জন্যই জন্ম গ্রহণ করেছে। না সমাজের জন্য, না জাতির জন্য,না বিশ্ববাসির জন্য। আমরা যদি অতীত ইতিহাসের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাব পৃথিবীতে যত বড় ব্যক্তিরা (ধর্মীয় নেতা, বিজ্ঞানী,সমাজবিদ,প্রকৌশলী আরো অনেকে)এসেছে,, তারা সবাই মানবতার কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তাদের এখানে কোনোরকম ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য ছিল না।তাদের এই মহৎকর্মের জন্যেই আমরা এত সুন্দর জীবন-যাপন করছি। আমারও তো একটু একটু করে মানবতার সেবায় কাজ করতে পারি।
এখনকার মানুষের আরকটি বড় সমস্যা হলো মানুষ মানুষকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে পারেনা, তারা মনে করে, আমাকে কেউ কিছু বললে তার পাল্টা জবাব দিতেই হবে।আমরা যদি হযরত মোহাম্মদ (সা) এর দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাব,,তিনি তার জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত হয়েছেন, তায়েফের ময়দানে তার শরীর থেকে রক্ত ঝরেছিল,,যখন তার কাছে গোটা মুসলিম বিশ্বের ক্ষমতা গেল,, তখন তিনি ইচ্ছা করলে এইসবের প্রতিশোধ নিতে পারতেন,, তিনি এইসব না করে সবাইকে ক্ষমা করে বুকে টেনে নিলেন,, এরজন্যই তিনি আজ পর্যন্ত ও পৃথিবী যতদিন পর্যন্ত টিকে থাকবে, ততদিন পর্যন্ত তিনি বিখ্যাত হয়ে থাকবেন।
যাইহোক সামনে কোরবানি ঈদ আসতেছে,, এই করোনা কালীন সময়ের জন্য অনেকের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ যাচ্ছে, তারা হয়তো সামাজিকতার কারনে কারোর কাছে নিজের এই দূরাবস্থার কথা বলতে পারে না।
আমরা কি পারিনা? রাতে আঁধারে গিয়ে তাদের খুজ খবর নিতে, আমরা কি পারিনা?নিরবে তাদের দুটি কথা শুনতে।।একদিন তো সবাই মরেই যাবো, তাহলে এতো সম্পদ দিয়ে কি করবেন?
আপনি ঘরে বসে মোরগ-পোলাউ খেলেন আর আপনার পাশের ঘরের মানুষগুলো না খেয়ে থাকলো,, এখানেই জীবনের সীমাবদ্ধতা নয়,,একদিন আল্লাহ হাশরের ময়দানে জিজ্ঞেস করবে আমি কি শুধু তোমাকে তোমার পরিবারের জন্যই পাঠিয়েছিলাম,তখন আপনি কি জবাব দিবেন,  একবারও কি ভেবে দেখেছেন?
 ঐদিন আপনার আদরের সন্তান আপনার কোনো কাজে আসবেনা, সবাই “ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি” করবে।
তাই এই মহামারীর সময়ে একজনের বিপদে আরেকজন মানবতার কল্যানে সাহায্যের হাতটি বারিয়ে দিন।
লেখক: মো. সোলাইমান। 
শিক্ষার্থী : বাংলা বিভাগ, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, কুমিল্লা। 
সদস্য,  ভিক্টোরিয়া কলেজ বিতর্ক পরিষদ (ভিসিডিএস)।