আশুগঞ্জে কন্যাশিশু ধর্ষিত : থানায় মামলা

inside post
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য তাজুল ইসলাম। ১০ টাকা দিয়ে পাশের বাড়ির মাত্র পাঁচ বছর বয়েসী সম্পর্কীয় নাতনীকে নিজের খালি বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ মিলেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই কন্যাশিশুকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই ধর্ষক তাজুল ইসলাম বেপাত্তা। শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় দায়ের করেছেন মামলা। বর্বরোচিত এই ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা এলাকার।
রবিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে শিশুটিকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং রাতেই শিশুটির মা বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় দায়ের করেন মামলা। এর আগে রবিবার বিকেলে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের সোহাগপুর পশ্চিমপাড়ার মৃত আবদুল জলিল মিয়ার পুত্র অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য তাজুল ইসলামের বাড়িতে ঘটে বর্বরোচিত এই ঘটনা। অভিযুক্ত তাজুল সেই থেকেই বেপাত্তা।
ধর্ষিতা শিশুটির মা জানান, রবিবার সকালে তার মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলের সাথে দেখা করতে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে যান। বিকেলে বাড়িতে ফিরে পাঁচ বছর বয়েসী মেয়েকে শুয়ে থাকতে দেখেন বিছানায়। তাকে গোসল করাতে নিয়ে গিয়ে কোনো সমস্যা হয়েছে কি না মেয়ের কাছে জানতে চান। এসময় তিনি জানতে পারেন পাশের বাড়ির অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য (শিশুটির সম্পর্কীয় দাদা) তাজুল ইসলাম তাকে ১০ টাকা দিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। এবং বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাধে তাজুল ইসলাম ঘরের দরজা বন্ধ করে শিশুটির উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। নিজ মেয়ের কাছ থেকে ঘটনা জানতে পেরে তার মা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে আশুগঞ্জ থানায় নিয়ে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পুলিশ শিশুটিকে আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। পরে রবিবার রাতেই অভিযুক্ত তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা রয়েছেন অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম।
আশুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. আজাদ রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে তাজুল ইসলামকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষক তাজুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন, তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
আরো পড়ুন