কাঁচা ঘর ভাঙ্গার মামলা দেয়ায় নিয়ে যায় পাকা ভবনের ইটও!
প্রতিনিধি।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার খাড়াতাইয়ায় বাড়িঘর ভাঙচুর করে অর্ধকোটি টাকার মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া জমি দখলের চেষ্টাও করছে চক্রটি। কাঁচা ঘর ভাঙ্গার ঘটনায় মামলা করায় অভিযুক্তরা পাকা ভবনের ইটও খুলে নিয়ে যায়! বাড়ির মাটি ছাড়া কিছু রেখে যায়নি। সোমবার কুমিল্লা নগরীর একটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মো. শরীফুল ইসলাম।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ‘গত ২১মে থেকে টানা তিন দিন তাদের বাড়িতে আরিফুর রহমানসহ ২৫-৩০জন হামলা চালায়। তাদের রান্নাঘর ও টিনের ঘর ভাঙচুর করে। ঘরের আসবাবপত্র নিয়ে যায়। ২৫মে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা করায় ৩১ মে আরিফুর রহমানসহ তাদের বাহিনী নিয়ে বাড়িতে পুনরায় একটি আধাপাকা ঘর ও একটি টিনের ঘর ভেঙে নিয়ে যায়। ঘরে থাকা ফ্রিজ, খাট, শোকেস, সোফা, আলমিরা, টেবিল, চেয়ার, ফ্যানসহ ঘরের টিন কাঠ ও ইট খুলে নেয়। তাদের ঘরের টিন পালা ও ইট দিয়ে আরিফুর রহমানের পক্ষের কামাল হোসেন খাড়াতাইয়া বাজারে ঘর নির্মাণ করেছে। এছাড়া তিন শতাধিক গাছ কেটে ও পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে যায় তারা। যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি টাকা। ৯৯৯ এ কল দিয়ে সহায়তা চাইলে বুড়িচং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন ঘটনাস্থলে আসেন। পরিবারের সদস্যদের অভিযুক্তরা নানা রকম হুমকি দিচ্ছে বলেও জানান শরীফুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে শরীফুল ইসলামের মা সাবিনা বানু ও ছোটবোন সাদিয়া আফরোজ উপস্থিত ছিলেন।
হামলায় অভিযুক্তরা হলেন ইছাপুরা গ্রামের মো. আরিফুর রহমান, মো. খোকন মিয়া, আনিসা খানম, খাড়াতাইয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম, মাহাবুবুর রহমান, মোখলেছুর রহমান, জামাল মিয়া, ফারুক মিয়া, আব্দুল কুদ্দুস, সালাউদ্দিন, মেহেরুল, রফিক মিয়া, কামাল হোসেন, মহিউদ্দিন ও আবুল মিয়া।
অভিযুক্ত আরিফুর রহমান মুঠোফোনে জানান, তার বাবা এই বাড়ি নিলামে কিনেছেন। তারা বাড়িঘর ভাঙচুর করেছেন এখানে নতুন করে ঘরবাড়ি তুলতে। এদিকে ভুক্তভোগী মো. শরীফুল ইসলামের দাবি বাড়ির জমিটি তার মায়ের সম্পত্তি।
বুড়িচং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন জানান, বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা সত্য। এই জায়গাটি বেশ কয়েক বছর আগে বাদীর বাবা বিক্রি করে দিয়েছেন বলে বিবাদীরা বলছেন। যাচাই বাছাই করে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।