কৃষ্ণচূড়া সোনালু জারুলে বর্ণিল নগরী


মহিউদ্দিন মোল্লা।।
কৃষ্ণচূড়া, সোনালু,জারুলে ফুলের রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে কুমিল্লা নগরী। গ্রীষ্মের এই সময়ে কৃষ্ণচূড়া ও সোনালু তার আগুন রূপ ছড়াচ্ছে। ফুলের সৌন্দর্যে চোখ জুড়াচ্ছে পথচারীরা। নগরীতে কয়েক বছর আগেও গ্রীষ্মে লাল কৃষ্ণচূড়া আর হলুদ সোনালু ফুলের আধিক্য ছিল প্রকৃতিতে। তবে এখন ফুল গাছ অনেক কমে গেছে। এখন নগরীর ধর্মসাগর দিঘির উত্তর পাড়, নগর উদ্যানের উত্তর পাশে, স্টেডিয়ামের সামনে, জিলা স্কুলের সামনে, নিউ হোস্টেলের পাশে,পুলিশ লাইন সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে কৃষ্ণচূড়ার ফুল নজরে পড়ে। এদিকে কয়েক বছর আগেও নগরীর রামঘাটলা এলাকায় সোনালু ফুল দেখা গেছে। এখন ধর্মসাগর দিঘির উত্তর পাড়ে কিছু সোনালু ফুল রয়েছে। এছাড়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ডিগ্রি শাখায় কিছু জারুল ফুল ও কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কৃষ্ণচূড়া ফুল দেখা গেছে। এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নানা রঙের ফুল দেখা গেছে। কৃষ্ণচূড়া, পলাশ, সোনালু ও জারুল জাতীয় গাছ লাগিয়ে নগরীর সৌন্দর্য বর্ধনের দাবি জানিয়েছেন কুমিল্লা নগরবাসী।
নজরুল গবেষক কবি ড. আলী হোসেন চৌধুরী বলেন, মানুষের মন বিভিন্ন কারণে বিষণœ হয়। কৃষ্ণচূড়া, সোনালু ও জারুল ফুলের রঙে চোখ রাখলে তার মন প্রফুল্ল হয়ে ওঠে। কুমিল্লা নগরী একসময় বিভিন্ন ফল ও ফুলের গাছে ভরপুর ছিল। সেই গাছগুলো অনেক কমে গেছে। নগরীর সৌন্দর্য বাড়াতে কৃষ্ণচূড়া, পলাশ, সোনালু ও জারুল জাতীয় গাছের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন।
কুমিল্লার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জি এম মোহাম্মদ কবির বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার প্রয়োজনে উদ্ভিদের বিকল্প নেই। কৃষ্ণচূড়ার লাল, পলাশের লাল হলুদ, সোনালুর হলুদ ও জারুলের বেগুনি ফুল পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। নগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো এগিয়ে এলে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তাদের গাছ দিয়ে সহযোগিতা করবো।