বেরুলার পর এবার ভরাট নগরীর কান্দিখাল

মহিউদ্দিন মোল্লা ।।
কুমিল্লার লাকসামে বেরুলা খাল ভরাটের পর নগরীর পানি নিষ্কাশনের পথ কান্দিখাল ভরাট করা হচ্ছে। নগরীর টমছম ব্রিজ থেকে লাকসাম রোডের সড়কটি চারলেনে উন্নীত করার কাজ করতে গিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ খালটি ভরাট করছে। কিছু অংশ ভরাটে বর্তমানে খালটি সরু ড্রেনে পরিণত হয়েছে। কুমিল্লা নগরীর মানুষের ব্যবহৃত বর্জ্য ও ময়লা পানি এই খাল দিয়ে অপসারণ হয়। এমনিতে সামান্য বৃষ্টিতে নগরী ডুবে যায়, সেখানে পানি অপসারণ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক না থাকলে কুমিল্লা নগরী জুড়ে জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করবে। এদিকে বর্ষার মৌসুমে প্রবল বর্ষণ এবং অতিবৃষ্টির কারণে শহর ডুবে যাওয়ার আশঙ্কাও সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে নগরীর পানি অপসারণের পথ বন্ধ করে সড়ক নির্মাণের ঘটনায় কুমিল্লা নগরজুড়ে সচেতন নাগরিক সমাজের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবি সড়ক নির্মাণের জন্য খাল ভরাট বন্ধ করা হোক। এমনকি যে অংশে মাটি ফেলা হয়েছে সেগুলোও অপসারণ করা হোক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নগরীর টমছমব্রিজ থেকে কচুয়া চৌমুহনী সড়কের পাশের কান্দিখালটির সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্যালয়ে প্রবেশ পথের কালভার্টের দুইপাশে বিশাল অংশ জুড়ে ভরাট করা হয়েছে। পানি অপসারণ প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে।
সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন,আমাদের সড়কের প্রয়োজন রয়েছে। সেটা খাল ভরাট করে কেন করতে হবে? পানি অপসারণের ব্যবস্থা রেখে সড়কের কাজ করতে হবে।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, খাল ভরাটের কথা শুনে তিনি তার প্রকৌশলীদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন। তারা গিয়ে কাজ বন্ধ করেছেন। সোমবার এনিয়ে যৌথ সভা হয়েছে। খালের মালিক জেলা প্রশাসক, তার সাথে আমরা আবার বসবো।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ বলেন, সড়ক নির্মাণে আমি আমার জায়গায় কাজ করছি। অন্যের জায়গায় আমি এক চুলও যাবো না। আর খাল ভরাট করে আমি সড়ক নির্মাণ করতে যাবো কেন? আমি আমার জায়গায় সঠিক আছি। খাল বাচাঁতে হলে সিটি কর্পোরেশনের উচিত যারা তাদের খাল ও জমি দখল করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।
উল্লেখ্য-এর আগে সড়ক ও জনপদ বিভাগ লাকসামের ভাটিয়া ভিটা ও বাতাবাড়িয়া এলাকায় বেরুলা খাল ভরাট করেছে। এতে দক্ষিণ কুমিল্লার পাঁচ হাজার একর জমি জলাবদ্ধতায় পড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

inside post
আরো পড়ুন