ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭০ নেতাকর্মী আটক, আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ

inside post
হরতালের প্রভাব পড়েনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ,  চলেনি দূরপাল্লার যান
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে ঘোষিত দেশব্যাপী হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তেমন প্রভাব পড়েনি। রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকেই জেলা শহরের পরিবেশ ছিলো অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক।  চলেনি দূরপাল্লার যানবাহন। আটক করা হয়েছে ৭০ জনকে। এদিকে হরতাল প্রতিহতের ডাক দিয়ে আওয়ামী লীগ করেছে শান্তি সমাবেশ।
সরেজমিন প্রত্যক্ষ করে দেখা গেছে, বিএনপির ডাকা হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তেমন  প্রভাব পড়েনি। রোববার সকাল থেকেই জেলা শহরের পরিবেশ ছিলো অন্যান্য সকল দিনের মতোই স্বাভাবিক। সকাল থেকে সরকারি দপ্তরের পাশাপাশি, ব্যাংক, বীমাসহ সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলে। নির্ধারিত সময়েই খুলেছে সকল দোকানপাট। সড়কগুলোতে ছোট-বড় সব ধরণের যানবাহন চলাচলের পাশাপাশি স্বাভাবিক ছিলো ট্রেন চলাচল। তবে দূর পাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিলেও মাঠে দেখা যায়নি বিএনপির কোন নেতাকর্মীকে। হরতালের সমর্থনে তাদের ছিলো না কোনো পিকেটিং, মিছিল কিংবা সমাবেশ। সকাল থেকেই শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন ছিলো। এছাড়াও জেলার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলিট ফোর্স র‍্যাব সতর্কতার সাথে টহল জোরদার করে কাজ করেছে।এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাজুড়ে শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত  বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৭০ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘নাশকতার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করছে।’
অপরদিকে বিএনপির ডাকা হরতাল প্রতিহতের ডাক দিয়ে শান্তি সমাবেশ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ। রোববার সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে হরতাল বিরোধী মিছিল বের করে। পরে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌরমেয়র মো. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। এসময় বক্তারা বিএনপি ও জামায়াতের নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে জেলা ছাত্রলীগ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা হরতাল বিরোধী মিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আরো পড়ুন