জনবল কমানোর পরিপত্রে ক্ষুব্ধ বিএডিসি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
![](https://amodbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
জনবল সংকটে ধুঁকছে বিএডিসি
প্রতিনিধি।।
জনবল সংকটে ধুঁকছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি)। সেখানে বিএডিসির ছয় হাজার ৮০০ জনের জনবল কাঠামো ভেঙে তিন হাজার ১৭ জনের নতুন জনবলের পরিপত্রে ক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সারা দেশের মতো কুমিল্লা বিএডিসির কর্মচারীরাও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। জনবল অর্ধেকের নিচে নামিয়ে আনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে সংস্থাটির শ্রমিক-কর্মচারী লীগ (সিবিএ)। কুমিল্লায় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বিএডিসি কর্মীরা বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তের কারণে কৃষিতে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লড়াই বাধাগ্রস্ত হবে।
বিএডিসির কর্মচারীরা বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তের কারণে কৃষিতে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার চলমান প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে। বিএডিসি মাঠপর্যায়ের সার, বীজ ও সেচের প্রায় ১৩৫টি কার্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে। অর্ধেকে নেমে আসবে সার বিতরণ কার্যক্রম। এতে কৃষকের কাছে যথাসময়ে সার পৌঁছানো সম্ভব হবে না। সারাদেশে কৃষকের বীজের মোট চাহিদা ছয় লাখ টন। এর মধ্যে বিএডিসি সরবরাহ করে প্রায় দুই লাখ টন। জনবল সংকটের কারণে মাঠে সেচ সেবা দেওয়ার কার্যক্রমও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। দ্রুত জনবল সংকটের বিষয়টি সমাধান না হলে আরও বড় কর্মসূচি নেওয়া হবে। কর্মবিরতির মতো ঘোষণাও আসতে পারে।
বিএডিসি শ্রমিক-কর্মচারী লীগের (সিবিএ) কার্যকরী সভাপতি মো. রেজাউল করিম বলেন, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিএডিসি কর্মীরা নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এ কারণে ধারাবাহিক সাফল্য আসছে। এমন অবস্থায় বিএডিসির অবসরোত্তর পেনশন চালুর প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্ত কৃষিবান্ধব সরকার ব্যবস্থাকে রীতিমতো প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে মনে করছি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয় হাজার ৮০০ জনের অনুমোদন দিয়েছিলেন। সেখান থেকে কমিয়ে তিন হাজার ১৭ জনে নিয়ে আসার মাধ্যমে নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। ছয় হাজার ৮০০ জনকে আগের আদেশে অনুমোদন করে বিএডিসিতে পেনশন স্কিম চালু এখন কর্মচারীদের প্রাণের দাবি।