মসজিদ-মণ্ডপের সংশ্লিষ্টতাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ

 

অফিস রিপোর্টার।।

কুমিল্লার ঘটনায় মসজিদ-মণ্ডপের দায়িত্বশীল কেউ সম্পৃক্ত আছেন কি-না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার বিকেলে সিআইডি কুমিল্লার পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান জানান, প্রথমে ইকবাল-ইকরামকে গুরুত্ব দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও এ ঘটনায় রিমান্ডে থাকা চারজনকেই ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাকী দুইজন হুমায়ুন কবির ও ফয়সাল। এ ঘটনায় মসজিদ-মণ্ডপের কেউ যুক্ত আছে কি-না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের শনাক্তে সর্বোচ্চ প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এদিকে ইকবাল-ইকরামদের রিমান্ডের ৫ম দিন ছিলো বুধবার। এই পর্যন্ত তাদের থেকে উল্লেখযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি।

২৩ অক্টোবর পুলিশ তাদের ১০দিনের রিমান্ড আবেদন করে। বিচারক মিথিলা জাহান নিপা ইকবাল হোসেনসহ চারজনের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সিসিটিভি ফুটেজের প্রথম অংশে মসজিদে ফয়সাল ও হুমায়ুনের সাথে ইকবালকে দেখা যায়। ফুটেজের শেষাংশে দেখা যায় ৯৯৯-এ কল করা ইকরামকে। ইকবাল ছাড়া বাকি তিনজনের কেউ এখনো মণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেনি।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর জানান, প্রাথমিকভাবে ইকবাল ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। অন্যদেরও সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ রয়েছে। আমরা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যালোচনা করে দেখছি। ওরা আরও কোনও ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকলে সেখানেও তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। যেহেতু এটা স্পর্শকাতর বিষয়, তাই তদন্তে সময় লাগবে।

উল্লেখ্য-গত বৃহস্পতিবার রাতে ইকবালকে কক্সবাজারে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার তাকে কুমিল্লা পুলিশ লাইনসে আনা হয়, সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার বিষয়টি স্বীকার করে সে। এর আগে জড়িত সন্দেহে ইকরাম, হুমায়ুন কবির ও ফয়সালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘির পাড়ের একটি অস্থায়ী পূজামণ্ডপে হনুমানের মূর্তির কোলে কোরআন শরিফ পাওয়ার ঘটনায় সারাদেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।