আওয়ামী লীগের ১৫ বিদ্রোহী প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। ৬১ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। এদিকে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশ নেয়া ১৫ জনকে জেলা আওয়ামী লীগ দল থেকে বহিস্কার করেছে বলে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছেন।
বহিষ্কৃতরা হলেন, সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শরিফুল ইসলাম (চশমা), বুধল ইউনিয়নের মো. আবদুল হামিদ (আনারস) ও মনিরুজ্জামান (চশমা), নাটাই উত্তর ইউনিয়নের মো. হালিম শাহ লিল মিয়া (আনারস), কাজী মো. মোবারক হোসেন (টেলিফোন) ও আমির হোসেন (মোটর সাইকেল), তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের এনামুল হক সমান (মোটর সাইকেল) ও আল-আমিন টেলিফোন), বাসুদেব ইউনিয়নের নেছার উদ্দিন শেরশাহ (ঘোড়া) ও আবদুল হাকিম মোল্লা (আনারস), সাদেকপুর ইউনিয়নের সাইদুজ্জামান মাষ্টার (আনারস), রামরাইল ইউনিয়নের মশিউর রহমান সেলিম (আনারস) ও শাহীন ভূইয়া বাবু (ঘোড়া), সুলতানপুর ইউনিয়নের শেখ মোহাম্মদ মহসিন (আনারস) ও সুধীর চন্দ্র ঘোষ (ঘোড়া)।
জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত দলীয় বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীদেরকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বারংবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও বিদ্রোহীরা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যহার করেননি। তাই সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সুপারিশে মঙ্গলবার জেলা আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে তাদের সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করে। এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারার (১১) উপধারা মোতাবেক বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার গুরুতর শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিতে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থনকারী স্থানীয় সকল দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে দল মনোনীত প্রার্থীর (নৌকা) পক্ষে কাজ করার আহবান জানানো হয়েছে। নতুবা তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ১৫ বিদ্রোহী প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।