আমোদ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পাতায় ফিরে দেখা 

হুমায়ুন কবির।।  
সাপ্তাহিক ‘আমোদ’ পত্রিকার ১ মে ২০২৫ সংখ্যাটি ছিল এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। এই সংখ্যায় বিভিন্ন লেখক ও শুভানুধ্যায়ীরা তাঁদের অনুভূতি, স্মৃতি ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন, যা পত্রিকাটির দীর্ঘ পথচলার সাক্ষ্য বহন করে। এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সংখ্যাটি ‘আমোদ’ পত্রিকার দীর্ঘ পথচলার একটি মাইলফলক। লেখকদের স্মৃতিচারণ, পাঠকদের ভালোবাসা এবং পত্রিকার নির্বিচারে সংবাদ পরিবেশনের অঙ্গীকার এই সংখ্যাটিকে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে। এই অনন্য যাত্রায় ‘আমোদ’ পত্রিকা ভবিষ্যতেও সমাজের দর্পণ হিসেবে তার ভূমিকা পালন করবে।
‘প্রদীপ সিংহ রায় মুকুট’ লিখেছেন,  ৭১ বছর,এক দীর্ঘ দুর্লঙ্ঘ পথ পরিক্রমার রেকর্ড। সত্যি যা এক অনন্য রেকর্ড। ‘মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী’ লিখেন, তার স্মৃতির আয়নায় প্রাণের শহর কুমিল্লাকে খুঁজে ফেরেন। ‘প্রকৌশলী মীর ফজলে রাব্বী’ লিখেন, আমাদের সেবার আদান এবং প্রদান আমাদের বাস্তবতা খুবই কঠিন।
 ‘হাসিবুল ইসলাম সজিব’ এর ছোটবেলার স্বপ্ন একদিন সংবাদ কর্মী হবেন। তার স্বপ্ন সফল আজ “আমোদ” এর মাধ্যমে।  ‘সুমন পাটোয়ারী’ অনেক সম্মান কামিয়েছেন এই ‘আমোদ’ কে ঘিরেই।
 ‘রফিকুল ইসলাম সোহেল’ মনে করেন প্রতি প্রতিবন্ধীদের অধিকারে প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র পত্রিকা ‘আমোদ’ কে পাই। একজন প্রতিবন্ধী হিসেবে আমিও সোহেল ভাইয়ের সাথে একমত। তাদের পুনর্বাসনও বিভিন্ন সময় করে থাকেন এই ‘অমোদ’।
‘ইলিয়াস হোসেন’ একজন সংবাদকর্মী যিনি ডিজিটাল দুনিয়ায় নিজেকে প্রমাণ করেছেন অনেক আগে। মনে পড়ে ‘প্রথম আলো’পত্রিকার সদ্য প্রয়াত ‘ফটো জার্নালিস্ট’ এম সাদেক এর ছাপ আমি তার মাঝে দেখতে পাই। তিনিই জানেন ‘গণ মাধ্যমের শক্তি’ কত! আমার বিশ্বাস তিনি আনেক দূর যাবেন।
‘মাহফুজ নান্টু’ আমার দেখা প্রথিতযশা সাংবাদিক। তার লেখার আমি একজন ভীষণ ভক্ত। গণমাধ্যম নিয়ে তার টুকরো স্মৃতি অনেক মজাদার। ‘সানোয়ার হোসেন’ ভাই কাঁধে ক্যামেরার ব্যাগ ভাব নেন না, তিনি ‘আমোদ’ সাইট আর ছবি দিয়ে অনেক কিছু বলে দেন।
 ‘মতিন সৈকত’ বলেন- নেচারালি সংবাদপত্র তাকে কাছে টানে।‘নার্গিস খান’ বলেন- তিনি একজন শিক্ষা কর্মী। তিনি মনে করেন লেখালেখি আর শান্তির সমন্বয় এক সাথেই সম্ভব।
এই বিশেষ সংখ্যায় অন্যান্য লেখকরাও তাঁদের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি ভাগ করে নিয়েছেন। তাঁরা ‘আমোদ’ পত্রিকার নিরপেক্ষতা, সমাজসচেতনতা এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অবদানের কথা তুলে ধরেছেন। কেউ কেউ উল্লেখ করেছেন, কিভাবে এই পত্রিকা তাঁদের লেখালেখির অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে এবং স্থানীয় সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

লেখক: উদ্যোক্তা,টাট্কা এগ্রোফার্ম, মিথিলাপুর,বুড়িচং।

inside post
আরো পড়ুন