‘এমপি হিসেবে নয় স্কুল শিক্ষকের সন্তান হিসেবে গর্ববোধ করি’

 প্রতিনিধি।।
  আমি সংসদ সদস্য হিসেবে গর্ববোধ করি না, স্কুল শিক্ষকের সন্তান হিসেবে করি। 

বুধবার (২২ মে) স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ কুমিল্লার সম্মেলন টাউন হল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেসরকারি শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে এসব বক্তব্য রাখেন সদর আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। এর আগে শিক্ষক নেতাদের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ ও অন্যান্য সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়।

এমপি বাহার বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মেমোরি তাড়াতাড়ি লস হয়। কারণ তারা সারাদিন পাওয়ার চিন্তা করেন, দেওয়ার চিন্তা করেন না। ভিশন-২১ এর অংশই হচ্ছে আজকে ৬০হাজার টাকা বেতন। শুধু শিক্ষক না।  একজন কনস্টেবল এখন যত বেতন পান, ২০০৮ সালে একজন এসপি তত বেতন পেতেন। ২০২১ সালের স্বপ্নই পদ্মাব্রিজ, এমআরটি, কর্ণফুলী টানেল..। ২০২১ সালের বাংলাদেশ বাস্তবায়িত হয়েছে। আমরা এটমিক পাওয়ারের রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ সালের ভিশনও সফল হবে। আজকের এই সম্মেলন থেকে বলতে চাই, কুমিল্লা নামেই কুমিল্লা বিভাগ চাই। সকল ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে আমি এই কুমিল্লাকে বঙ্গবন্ধুর কুমিল্লা করেছি। আমি কুমিল্লাকে শেখ হাসিনার কুমিল্লা করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি যে ট্রেন হুইসেল দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন তা গন্তব্যে যাবেই।
এসময় এক হুজুরকে লক্ষ্য করে এমপি বাহার বলেন, আমি দেখেছি হুজুররা নিজেদের পরিবারের সাথে বসে ভাত খেতে পারেন না। পরিবারের সদস্যরা আসলে তাদের কাছে থাকতে পারেন না। আমি নিজে তাদের জন্য ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করেছি। আপনাদের জন্য ৩০টির মতো ঘরে করে দিয়েছি পরিবার নিয়ে থাকার জন্য। 
স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ কুমিল্লার সভাপতি মো. মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনের প্রথম পর্বে প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ড. মো. শাহজাহান সাজু। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. নিজামুল করিম, কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ভাষাসৈনিক অজিতগুহ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. শরিফুল ইসলাম। প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিমান বন্দর মুন্সী ফারুক আহমেদ কলেজের অধ্যাপক মহসিনুল হাসান।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কুমিল্লা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আসাদুর রশিদ আলমগীর।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের জেলা ও মহানগর কমিটি ঘোষণা করেন এমপি বাহার। জেলার সভাপতি করা হয় ভাষাসৈনিক অজিতগুহ কলেজের অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলামকে। সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম জীবন।
মহানগর কমিটির সভাপতি আসাদুর রশিদ আলমগীর ও
সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মহসিনুল হাসানের নাম ঘোষণা করা হয়।