কসবায় ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে ঝাড়ু মিছিল 

জেলা রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ইউপি চেয়ারম্যান জন্ম নিবন্ধন সনদ, ওয়ারিশান সনদে অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিলের পর এবার ওই চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল-মানববন্ধন করেছে স্থানীয় গ্রামবাসী। অভিযুক্ত ব্যক্তি জেলার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুর্শিদ। অন্যদিকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তে মাঠে নেমেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন উপ-পরিচালক।
বুধবার (০৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের ঈশাননগর চৌরাস্তা মোড়ে কতেক গ্রামের মানুষ সমবেত হয়ে স্থানীয় মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুর্শিদের অপসারণের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল,  মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের যমুনা গ্রামের বাসিন্দা এসএম শামীম আকতারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী ময়নাল হোসেন, কাদির মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, মনির হোসেন, মমিনুল ইসলাম পারভেজ, সুমন সরকার প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, মেহারী ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং ওয়ারিশান সনদ নিতে গেলে এলাকাবাসীর কাছ থেকে এক থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। এ ব্যাপারে এলাকার মানুষ জানতে চাইলে প্রশাসনের লোককে ম্যানেজ করতে টাকা নেন বলে অজুহাত দেখান ইউপি চেয়ারম্যান মুর্শিদ।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুর্শিদ বলেন,’অভিযোগকারীরা ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে আমার বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ করেছেন। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নেয়ার পরপরই সেবা নিতে কোনো অতিরিক্ত অর্থ নেয়া হয় না মর্মে সারা এলাকায় মাইকিং করে দিয়েছি। এরপরও পরিষদের উদ্যোক্তার ব্যাপারে অভিযোগ ওঠায় আমি তাকে বহিষ্কার করেছি।’
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জিয়াউল হক মীর জানান, ‘দায়িত্ব পেয়ে ইতোমধ্যে একদিন সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করেছি। তদন্ত কাজ আরো কিছুটা বাকি আছে। খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’