কালো আলু আর আধামণের কুমড়ায় মুগ্ধ কৃষক
কুমিল্লায় কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলা
তৈয়বুর রহমান সোহেল।।
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার টঙ্গিপাড়া গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন। সত্তরোর্ধ্ব এই কৃষক বাড়িতে ও নিজের জমিতে ধান, ভুট্টাসহ প্রয়োজনীয় শাকসবজি উৎপাদন করেন। অর্গানিক পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন করায় গত ১৫বছর ধরে তাকে কোনো ওষুধ খেতে হয় না। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উদ্যোগে কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলার উদ্বোধন হয়। মেলায় স্টল পরিদর্শন করতে আসেন ওই কৃষক। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার শাসনগাছা কার্যালয় আঙিনায় আয়োজিত মেলায় বিল্লাল হোসেনের মতো অন্য কৃষাণ কিষাণিরাও ভিড় করেন।
বিল্লাল হোসেন জানান, আমি অনেক ফসলের আবাদ করেছি। মেলায় স্টল প্রদর্শন করে কালো রঙের(কালো ও বেগুনির মাঝামাঝি) আলু এবং প্রায় আধ মণ ওজনের কুমড়া দেখে ভালো লেগেছে। কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ করে ভবিষ্যতে আমি এ দুটি সবজি আবাদ করব।
মেলায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, আম, কাঁঠাল, পাকা তাল, কুমড়া, নানা জাতের আলু, নতুন জাতের ধান, মধু, মাশরুমসহ কৃষিযন্ত্রপাতি স্তরে স্তরে সাজানো আছে। দূরদূরান্ত থেকে আগত কৃষকেরা এসব প্রদর্শনী দেখছেন। অনেক কৃষক নতুন জাতের উচ্চফলনশীল ফসল চাষের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
মেলায় স্বল্প জীবনকালীন ধানের প্রদর্শনী দিয়েছেন দেবিদ্বারের কৃষক রফিক আহমেদ। রফিক আহমেদ বলেন, মেলায় বিনা-২৫সহ অনেকগুলো স্বল্প জীবনকালীন ধানের প্রদর্শনী দিয়েছি। মেলায় এসে নিজেও নানা কৃষি প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা লাভের চেষ্টা করছি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক মো. আইউব মাহমুদ জানান, মেলায় ১৬টি স্টল রয়েছে। মেলাটি ২মে পর্যন্ত চলবে। কুমিল্লার প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকেরা যাতে কৃষি প্রযুক্তি, ফসলের বিভিন্ন জাত এবং পুষ্টি সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন সেজন্যই এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এ কাজে বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা, বেসরকারি ও সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং কৃষি উদ্যোক্তারা আমাদের সাহায্য করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার অতিরিক্ত পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, মেলায় প্রদর্শিত কৃষি প্রযুক্তি দেখে কৃষকেরা তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম হবেন। আমরা এই কৃষি প্রযুক্তিকে ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছি। পাশাপাশি বাণিজ্যনির্ভর কৃষির সম্প্রসারণ ঘটাতে কাজ করছি।