খড়িমাটিতে স্টিফেন হকিং

মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা। ছোট একটি সাদা চক। তাতে খড়িমাটি ও মিশ্রমাধ দিয়ে তৈরী করা হয়েছে বিশ^খ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের অবয়ব। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ভাস্কর কুমিল্লার ছেলে সামিউল আলম জাহেদ স্টিফেন হকিংয়ের এই ভাস্কর্যটি তৈরী করেছেন। যদিও এর আগে বিশ^খ্যাত শতাধিক মনিষির ভাস্কর্য তৈরী করেছেন তিনি। তবে ভাস্কর সামিউলের কাছে স্টিফেন হকিংয়ের কাজটি অনেক আবেগের।

এই শিল্পকর্ম ২৫ তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শণীতে স্থান পেয়েছে। যার উদ্বোধন হবে আগামী ২৮ মে । এই স্থাপনা শিল্পকর্মের শিরোনাম দেয়া হয়েছে বিশ্ব শান্তি, বিপ্লব ও ধ্বংস। এই ভাস্কর্য তৈরী চক খড়িমাটি এবং মিশ্রমাধ ব্যবহার করা হয়েছে।

ভাস্কর সামিউল আলম জাহেদ।

ভাস্কর সামিউল আলম জাহেদ বলেন, এই পৃথিবীতে যারা শান্তিতে অবদান রেখেছেন যেমন মাদার তেরেসা, আব্রাহাম লিংকন, মহাত্মা গান্ধী নেনসন মেন্ডেলা, হাজী মহসিন ইত্যাদি। পৃথিবীর বিপ্লব এবং নবজাগরণে অনেকে অবদান রেখেছেন তারমধ্যে এরিস্টটল, প্লেটো, সক্রেটিস, আলেকজান্ডার, ইবনে সিনা, লিওনার্দো, আইন্সটাইন, আলফ্রেড নোবেল, স্টিফেন হকিং, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পৃথিবীতে বিনাশকারী হয়ে যারা ধ্বংসলীলায় মত্ত ছিলেন তার মধ্য অন্যতম ফেরাউন, চেঙ্গিস খান, সম্রাট অশোক, মেডুসা, তৈমুর লং, স্ট্যালিন, মুসোলিনি, হিটলার, জর্জ বুস প্রমূখ ধ্বংসলীলায় মত্ত থাকা বিকশিত মানসিকতার বিমূর্ত রূপটাকে তৈরি করার চেষ্টা করেছি।

সামিউল আলম জাহেদ কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষকতা করেন। প্রতিষ্ঠান প্রধান নার্গিস আক্তার বলেন, সামিউল অসাধারণ সব কাজ করেন। কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ জাতীয়ভাবে পুরস্কৃত হয়েছেন।