গোমতীর পাড়ে ১৩শ’ বছরের পুরাকীর্তি
কুমিল্লার গোমতী নদীর উত্তর পাড়ে পাঁচথুবী ইউনিয়নে ১৩শ’ বছরের তিনটি পুরাকীর্তির সন্ধান মিলেছে। সেগুলো হচ্ছে পাঁচথুবী ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামে মোহন্তরাজার বাড়ি তথা মোহন্তের মুড়া, শরীফপুরে বৈষ্ণবরাজার বাড়ি তথা বৈষ্ণব মুড়া ও বসন্তপুর গ্রামে বসন্তপুরের বসন্ত রাজার বাড়ি। সম্প্রতি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো: আতাউর রহমান,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক মো. মুর্শেদ রায়হান, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের গবেষণা সহকারী মোঃ ওমর ফারুক, নূর মুহাম্মদ ও সার্ভেয়ার চাইথোয়াই মার্মা পুরাকীর্তি গুলো পরিদর্শন করেন। এনিয়ে গত সপ্তাহে সাপ্তাহিক আমোদ-পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংবাদে উল্লেখ করা হয়,কুমিল্লা শালবন বিহার থেকে প্রায় ১৫কি.মি. ও নগরী থেকে চার কি.মি. উত্তর-পূর্ব দিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন। পাঁচটি বৌদ্ধ স্তূপ থাকার কারণে এই এলাকার নাম হয় পাঁচথুবী। দীর্ঘদিন স্তূপ গুলো অবহেলায় বিনষ্ট হচ্ছে। স্তূপ গুলোর তিনটি শনাক্ত করা হয়েছে। গুলোর ইট কেটে গরু ঘরের ফ্লোর বানাচ্ছে স্থানীয়রা। অনেকে স্তূপ কেটে বাড়ির কাজে লাগাচ্ছেন।
ঐতিহ্য কুমিল্লার পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল বলেন,বিনষ্ট হচ্ছে ১৩-১৫শ’ বছরের প্রাচীন এই ঐতিহ্য। এই পুরাকীর্তি গুলো রক্ষা করা জরুরি। এগুলো সংরক্ষণ করে সরকার রাজস্ব আয় বাড়াতে পারে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক মো. মুর্শেদ রায়হান বলেন,আমরা পরিদর্শনে গিয়ে তিনটি পুরাকীর্তি দেখেছি। সেগুলো অনেকে মাটি কেটে নিয়ে ধ্বংস করছে। এগুলোর সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো: আতাউর রহমান বলেন, ৩মার্চ পুরাকীর্তি গুলো দেখেছি। শালবন বৌদ্ধ বিহার ও পাঁচথুবী এলাকা নিকটবর্তী। ধারণা করছি সব গুলো স্থাপনা একই সময়ের। আশা করি দ্রুতই এগুলোর সংরক্ষণ ও সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবো।
আমরা আশা করি, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর পুরাকীর্তি গুলো সংরক্ষণ ও সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এতে রক্ষা হবে আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য। মানুষের বিনোদনের পাশাপশি সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।