ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঝোপে মিললো শিশুর মরদেহ 

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রবাসফেরত প্রতিবেশী যুবতি রিমির সাথে মেলামেশা করতো আট বছরের কন্যাশিশু কাশপিয়া আক্তার ওরফে শেফা। বিকেলে বাড়ি থেকে আচমকা শিশুটি নিখোঁজের পর রাতেও ফিরেনি। সন্দেহবশত চাপাচাপিতে ‘শেফাকে ঝোপঝাড়ের পাশে পাওয়া যেতে পারে’ রিমি এমনটি জানানোর পর তার দেখানো জায়গা থেকেই শেফাকে উদ্ধার করা হয়, তবে তার মরদেহ! এই ঘটনায় আটক করা হয় রিমিকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা এলাকার।
বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে সরাইল উপজেলা সদরের সৈয়দটুলা গ্রামের নোয়াহাটি এলাকার একটি ঝোপঝাড় থেকে শিশু কাশপিয়া আক্তার শেফার (৮) মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। শেফা সৈয়দটুলা গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে। এ ঘটনায় আটককৃত যুবতি রিমি আক্তার (২৪) একই গ্রামের আব্দুল মতিনের মেয়ে।
নিহতের পরিবার, স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সৈয়দটুলা গ্রামের আবদুল কাদেরের কন্যাশিশু শেফা প্রতিবেশী যুবতি রিমির সঙ্গে মেলামেশা করত। মঙ্গলবার বিকেল থেকে শেফার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলনা। গ্রামে মাইকিংও করে শিশুটির পরিবার। যেহেতু রিমির সাথে বেশি মেলামেশা করত সেজন্য রিমিকে চাপ দেয়ার পর ‘ঝোপঝাড়ের পাশে কাশপিয়াকে পাওয়া যেতে পারে’ বলে রিমি জানায়। পরবর্তীতে রিমির দেখানো জায়গাতেই কাশপিয়ার মরদেহ পাওয়া যায়। বুধবার সকাল সাতটার দিকে সরাইল থানা পুলিশ সৈয়দটুলা গ্রামের নোয়াহাটি এলাকার একটি ঝোপঝাড় থেকে শিশু কাশপিয়া আক্তার শেফার মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় শিশুটির গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতের পর ময়না তদন্তের জন্য লাশ পাঠানো হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে। এদিকে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে প্রতিবেশী যুবতি রিমি আক্তারকে আটক করা হয়। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রিমি একসময় প্রবাসে ছিলেন। গ্রামের লোকজন জানিয়েছে, তাঁর স্বভাব-চরিত্র ভালো নয়। তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘স্থানীয়রা রিমিকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ কর হচ্ছে। কাশপিয়ার মরদেহের ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’