চান্দিনার মাঠে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে পিঙ্করোজ ও রেড বেল

 

মহিউদ্দিন মোল্লা।।
হারং। কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার একটি গ্রাম। ওই গ্রামের মাঠে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে পিঙ্করোজ, রেড বেল ও হোয়াইট রঙের ফল। মোহনীয় এই রূপের গল্প ড্রাগন ফলের। দুই বিঘা জমিতে এই ফলের চাষ করেন বেসরকারি চাকরিজীবী কামাল হোসেন সরকার দুলাল। ২০২২সালে তিনি চারা লাগান। তারা জমির লিজসহ খরচ হয়েছে প্রায় ৬লাখ টাকা। এক বছরের মাথায় ফল আসতে শুরু করে। তিনি লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছেন। তার আশা আগামী বছর পুঁজি উঠে যাবে।

বাগানে গিয়ে দেখা যায়, পাইকারি ক্রেতার সাথে স্থানীয় সৌখিন ক্রেতারাও এসেছেন। অনেকে বাগানে ফল কেটে মুখে পুরছেন। ফলের গোলাপী ও লাল রঙ ক্রেতার মুখে ঠোঁটে লেগে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছে।

কামাল হোসেন সরকার দুলাল বলেন,ইউটিউবে দেখে উদ্বুদ্ধ হন। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে কাজ শুরু করেন। চাষ করতে করতে অভিজ্ঞতা বাড়ছে। আশা করছেন আগামীতে আরো বেশি ফলন পাবেন।
তার দেখাদেখি অন্যরা আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তিনি চারাও বিক্রি করেন। ক্রেতারা বাগান থেকেই ফল সংগ্রহ করেন। তার দাবি তিনি বিষমুক্ত উপায়ে ফল চাষ করেন। ফল জমিতে পাকার পর সংগ্রহ করেন। তাই এর স্বাদ,রঙ ও ঘ্রাণ চমৎকার।
স্থানীয় উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো.গোলাম সারোয়ার বলেন. কামাল হোসেন সরকার দুলাল আমাদের নিকট ড্রাগন ফল চাষের আগ্রহ প্রকাশ করেন। আমরা তাকে পরামর্শ দেই। সাথে প্রকল্পের মাধ্যমে চারা ও সার দিয়ে সহযোগিতা করি। তিনি আমাদের কথা দিয়েছেন বিষমুক্ত পদ্ধতিতে ফল উৎপাদন করবেন। তিন কথা রেখেছেন। তা ফল নিরাপদ ও সুস্বাদু। তার সাফল্য আমাদের উৎসাহিত করছে।


উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুল হক রোমেল বলেন, এই ফলটি উচ্চমানের ভিটামিন ও পুষ্টিমান সম্পন্ন ফল। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করছে। এটি প্রিজিং ছাড়া স্বাভাবিক আবওহাওয়ায় এক সপ্তাহ রাখা যায়। এটি বিদেশি ফল হলেও দেশে ব্যাপক চাষ হচ্ছে। দিন দিন কুমিল্লায়ও এই ফলের চাষ বাড়ছে। চান্দিনা উপজেলায় ৬টির মতো বাগান রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চাঁদসার,মাইজখার,পানিপাড়া ও হারং গ্রামের বাগান। আমরা তাদের পরামর্শ, চারা ও সার দিয়ে সহযোগিতা করছি।