টমছম ব্রিজের চারদিকে যানজট, ভোগান্তি

হাসিবুল ইসলাম সজিব।।
কুমিল্লা একটি ব্যস্ততম নগরী। টমছম ব্রিজ মোড় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়। ব্যস্ত এ মোড়ের ব্যস্ততাও অনেক বেশি। ব্যস্ত মোড়টিতে যানজটের দৃশ্য প্রতিদিন লক্ষণীয়। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, ডাক্তার, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সকল পেশার মানুষকে।
সূত্রমতে, ব্রিটিশ আমলে তৈরি কুমিল্লা-লাকসাম আঞ্চলিক মহাসড়ক । শতবছর পুরনো এ সড়কের নগরীতে প্রবেশের প্রথম মোড় টমছমব্রিজ। যানজট থেকে রক্ষায় বাস টার্মিনাল টমছমব্রিজ থেকে এক যুগ পূর্বে জাঙ্গালিয়া স্থানান্তর করা হয়। তবে টমছমব্রিজ মোড়ের সমস্যার সমাধান হয়নি। কুমিল্লা- নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক,টমছমব্রিজ- কোটবাড়ি বিশ্বরোড,টমছমব্রিজ সড়ক ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ যাতায়াতের মিলনস্থল টমছমব্রিজ মোড়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, টমছম ব্রিজের পশ্চিম দিকে টমছমব্রিজ হতে কোটবাড়ি বিশ্বরোড সড়কটি মাথায় রয়েছে সিএনজি স্ট্যান্ড। তার আরো একটু সামনে গিয়ে দেখা মিলবে রাস্তা উপরে দুইপাশে কাঁচা বাজার। আবার দক্ষিণ পাশে কুমিল্লা- নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ভ্যানে শাক-সবজির দোকান। পূর্বদিকের সড়কটি কুমিল্লা ইপিজেড ও মেডিকেল কলেজের যাতায়াতের স্থান। সেখানে অটো রিকশা গুলো অটো স্ট্যান্ডের মতো করে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকে। এ কয়েকটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ মোড়টিতে যানজটে সৃষ্টি হয় বলে জানান লোকজন। সাথে রয়েছে যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ বক্স।
কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার জানান, আমরা প্রতিদিন এ মোড়টি দিয়ে রোগী নিয়ে যাতায়াত করি। মাঝে মাঝে কিছু জরুরি রোগী থাকে যাদের যত তাড়াতাড়ি হসপিটালে পৌঁছানো তত ভালো হয়। টমছম ব্রিজ মোড়ে যানজটে আটকা পড়লে জরুরি রোগীরা মাঝে মধ্যে আরো খারাপ হয়ে পড়ে। অ্যাম্বুলেন্স দেখলে দ্রুত যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলে সঠিক সময় হাসপাতালে পৌঁছে দিতে পারবো রোগীদেরকে ।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডাঃ শেখ ফজলে রাব্বি জানান, এমন কিছু মুমূর্ষু রোগী আছে যাদের দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিতে পারলে জরুরি সেবাটা প্রদান করা সম্ভব। এতে করে তাকে মৃত্যু হতে বাঁচানো সম্ভব। টমছম ব্রিজ মোড়ে এ সমস্যার কারণে অ্যাম্বুলেন্সে করে আসা রোগীদের ভোগান্তি বাড়ে। মোড়টিতে আরো ট্রাফিক পুলিশ এবং অ্যাম্বুলেন্স দেখলে যেন দ্রুত হসপিটালে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) জিয়াউল হক চৌধুরী টিপু বলেন, বিগত সময়ে টমছম ব্রিজ এলাকায় যানজট থাকলেও বেরিকেট দেয়ার পর তা এখন নেই বললেই চলে। তবে স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত ও ইপিজেড ছুটির পর গাড়ির পরিমাণ বাড়লে সড়কে চাপও একটু বাড়ে। তবে ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতা কারণে এখন পাঁচ-দশ মিনিটের মধ্যেই তা নিরসন হচ্ছে । এমপি মহোদয় এবং সিটি কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে অটোরিকশা চলাচলের কার্যক্রম নিয়ে যে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়ন হলে যানজট পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।