দল বেঁধে পশু জবাই দেখতাম
।। মাসুদ আলম।।
ঈদ উদযাপনে শৈশবের স্মৃতিগুলো খুব মনে পড়ে। শৈশবের সেই কাটানো স্মৃতি মধুর ছিল। সামনে কুরবানির ঈদ। এই ঈদকে ঘিরে শৈশবে ফেলে আসা কিছু মজার স্মৃতি মনকে নাড়া দিলে নিজে নিজে হাসি। মনে হয় আবার পিছনে ফিরে যাই।
কুরবানির ঈদ নিয়ে একটা স্মৃতি বলি। শৈশবের তখনকার সময়ে এখনকার মতো সবার অর্থনৈতিক অবস্থা ততটা ভালো ছিল না। আমাদের গ্রামের নাম কেয়ারী। তিন পাড়া নিয়ে ছোট্ট একটি গ্রাম। সমাজের কয়েকজন মিলে তিন চার ভাগে কুরবানি দেয়া হতো। এখনও দিচ্ছেন। কুরবানির ঈদের আগের দিন আমরা পোলাপানরা দল বেঁধে একে অপরের বাড়িতে গরু দেখতে যেতাম। তর্ক জুড়ে দিতাম কোন গরুটি বেশি মোটা কিংবা কোনটি বেশি সুন্দর। কোনটার শিং বড় কোনটার ছোট ইত্যাদি!
ঈদের নামাজের মাঠে পাঠাতেন মা। বাবা ছিলেন প্রবাসে। আমাদের গ্রামের উত্তর পাড়ার পুরাতন মসজিদের হুজুর ঘুরে ঘুরে গ্রামের সকল পশু জবাই করতেন। আমরা পোলাপানরা দল বেঁধে বাজারে অপেক্ষা করতাম হুজুর কখন ঈদের নামাজ শেষে ফিরবেন সেই অপেক্ষায় থাকতাম। কখন আসবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। হঠাৎ লম্বা একটি ছুরি নিয়ে হুজুর কুরবানির গরু, ছাগল জবাই শুরু করতো। তখন আমরা দল বেঁধে হুজুরের পিছনে পিছনে ঘুরে বেড়াতাম। আর কি আনন্দ না করতাম। ঘুরে ঘুরে গ্রামের সকল গরু, ছাগল কুরবানি শেষে বাড়ি ফিরতাম।
লেখক:সাংবাদিক।