ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাইওয়ে থানার ওসিসহ ছয় পুলিশ প্রত্যাহার


এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।

পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যান আটকে ‘অবৈধ পণ্য পরিবহন’র অভিযোগ তুলে ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন মহাসড়কে কর্তব্যরত পুলিশ। এই ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রত্যাহার হলেন হাইওয়ে থানার ওসিসহ ছয়জন পুলিশ সদস্য। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিষয়টি জানাজানি হবার পর সমগ্র জেলাজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইতে থাকে।
প্রত্যাহারকৃতদেরকে (১৪ জুলাই সোমবার) হাইওয়ে পুলিশর কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংযুক্ত করার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছেন। প্রত্যাহারকৃতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) মামুন রহমান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) বিপ্লব বড়ুয়া, কনস্টেবল মো. সাহাবুদ্দিন, সাকিবুল, মো. মস্তু এবং মো. জহির মিয়া।
হাইওয়ে পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ জুলাই সিলেট থেকে ঢাকাগামী পণ্যবাহী একটি কাভার্ডভ্যান আটক করেন মহাসড়কে কর্তব্যরত খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের টহল সদস্যরা। পরে তারা অবৈধ পণ্য পরিবহনের অভিযোগ তুলে ওই কাভার্ডভ্যান থেকে ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এ নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সংবাদ প্রচার করা হয়। এরপর গত সোমবার ওই থানার ওসিসহ ছয়জনকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করা হয়। পরদিন মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হলে সমগ্র জেলাজুড়ে বইতে থাকে সমালোচনার ঝড়।খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা উপ-রিদর্শক (এসআই) মো. সজীব মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘একটা অভিযোগের ভিত্তিতে ছয়জনকে একসঙ্গে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল (সোমবার) থেকে আমি দায়িত্ব পালন করছি।’
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) খাইরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘একটি অভিযোগের ভিত্তিতে ওসিসহ ছয়জনকে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা থেকে প্রত্যাহার করে হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করছেন। তদন্ত প্রতিবেদনে অপরাধের মাত্রা অনুসারে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।