ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জারুর গোষ্ঠি-বারঘরিয়া গোষ্ঠি সংঘর্ষে ২০ জন আহত

আশুগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত, ১০ দোকানে অগ্নিসংযোগ, ১০ দাঙ্গাবাজ আটক
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
পূর্ব বিরোধের জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে ঘটে এই বর্বরতা। এসময় আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বাজারের অন্তত ১০টি দোকান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গায়ে সিএনজি’র ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার ও শনিবার দুর্গাপুর গ্রামের জারুর গোষ্ঠি (রাসেল চেয়ারম্যানের গোষ্ঠি) এবং বারঘরিয়া (মিজান মেম্বারের গোষ্ঠি) গোষ্ঠির লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এরই জের ধরে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের গোষ্ঠীর লোকজন বুধবার সকালে আবারও সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এরমধ্যে মেম্বারের গোষ্ঠীর বাহার মিয়া নামে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ এবং জেলা পুলিশ লাইনস থেকে ৩৫ জন দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাপক লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় ১০ দাঙ্গাবাজকে। এদিকে সংঘর্ষকালে দাঙ্গাবাজরা স্থানীয় বাজারের ১০টি দোকানে অগ্নিসংযোগ করে। পরে দমকল বাহিনীর সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আশুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এণ্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন অফিসার মিজানুর রহমান জানান, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবরে আমরা সেখানে গিয়েছি। মুদি, ফার্মেসিসহ বিভিন্ন প্রকার ১০টি দোকান অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়েছে। আমাদের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দমকল বাহিনীর দল অংশ গ্রহণ করে।’
আশুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (ওসি) আজাদ রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এছাড়া পুলিশ লাইন থেকে অতিরিক্ত আরও ৩৫ জন পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এই ঘটনায় ১০জন দাঙ্গাবাজকে আটক করা হয়েছে।