ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯৯৯’র কলে উদ্ধারে গিয়ে দারোগা ছুরিকাহত

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মা-বাবাকে ঘরে আটকে আগুণ দেয়ার চেষ্টা করছিলো সন্তান। ৯৯৯’র কল পেয়ে আটকে রাখাদের উদ্ধারে গিয়ে ছুরিকাহত হলেন দারোগা আতিকুল্লাহ্। ছুরিকাঘাতকারী সাইদুল এবং তার পিতাকে পুলিশ আটক করেছে। তবে আটককৃত সাইদুল ‘মানসিক প্রতিবন্ধী’ বলে দাবী তার পরিবারের।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বেহাইর গ্রামে ঘটে এই ঘটনা। ঘটনার হোতা সাইদুল হক বেহাইর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। গুরুতর আহত সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিকুল্লাহ্কে (৪৫) আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে বেহাইর গ্রামের সাইদুল হক তার মা ও বাবাকে একটি ঘরে আটকে ঘরে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে। ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশের একটি টিম ফায়ার সার্ভিসকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরবন্দী মা ও বাবাকে উদ্ধার করে। পরে সাইদুলকে আটক করতে গেলে সে তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে সদর মডেল থানায় দায়িত্বরত সাব ইন্সপেক্টর আতিকুল্লাহর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে। পরে পুলিশ সাইদুলকে আটক করে এবং গুরুতর আহত এসআই আতিকুল্লাহকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন। এদিকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হামলাকারী সাইদুল হককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। সে মানসিক প্রতিবন্ধী। তবে ৯৯৯-এ কে ফোন দিয়েছেন তা এখনো জানা যায়নি।’
পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হামলাকারীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সে মানসিক প্রতিবন্ধী। তবে ৯৯৯-এ কে ফোন দিয়েছেন তা এখনো জানা যায়নি।’