মাজারে নারী-পুরুষের নাচানাচিতে বাঁধা; সংঘর্ষে যুবক নিহত

বল্লামাঘাতে যুবক নিহত-পাঁচজন আটক

 

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নৈশকালে মাজারে চলছিলো গান। সাথে নারী পুরুষের নাচানাচি-হল্লাসহ মাদকের আড্ডা।এসবে স্থানীয়দের বাঁধা দেয়ার জেরে মাজারের খাদেমের সাথে এলাকাবাসীর সংঘর্ষে বল্লামাঘাতে নূরুল ইসলাম (৪৫) নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার দায়ে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।

রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামের আয়েত আলী শাহ’র মাজার এলাকায় ঘটে এই নারকীয়তা। নিহত নূরুল ইসলাম যাত্রাপুর ফকির বাড়ির শহিদ মিয়ার পুত্র।

নিহতের ভাই আজিজুল মিয়া, স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আশুগঞ্জের যাত্রাপুর গ্রামের আয়েত আলী শাহ’র মাজারে সম্প্রতি উপজেলার চরচারতলা গ্রামের বাসিন্দা আল আমিন শাহ নামে এক যুবককে খাদেম হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এর পরই প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে মাজারে নারী পুরুষের নাচানাচি, গান বাজনা ও মাদকের আড্ডা জমতে শুরু করে। মাজারের পাশ্ববর্তী বাসিন্দা নুরুল ইসলাম এসবে বাঁধা দেয়।

 

এ নিয়ে নুরুল ইসলামের চাচাতো ভাই মোশারফ, মোয়াজ্জেম এবং মাজারের খাদেম আল আমিন শাহ’র সাথে নুরুল ইসলামের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিরোধের জের ধরে রোববার বিকেলে নুরুল ইসলামের চাচাতো ভাই মোশারফ, মোয়াজ্জেম ও মাজারের খাদেম আল আমিন তার লোকজন নিয়ে নুরুল ইসলামের উপর হামলা চালিয়ে বল্লম দিয়ে নুরুল ইসলামের বুকে আঘাত করলে গুরুতর আহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নূরুল ইসলামকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসাপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এবিএম মুছা চৌধুরী তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।এদিকে এই ঘটনার পর স্থানীয়দের মাঝে বিরাজ করতে থাকে চাপা উত্তেজনা। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পাঁচজনকে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রইছ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘মরদেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে মর্গে।পরিবারের অভিযোগ পেলে মামলা গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।’