লাকসামে অপচিকিৎসার অভিযোগ কুমিল্লার সিভিল সার্জনের নিকট

 

অফিস রিপোর্টার।।

কুমিল্লার লাকসামে ডাঃ মোঃ আবদুল আলীর বিরুদ্ধে অপচিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৯ আগস্ট অপচিকিৎসায় ক্ষতিগ্রস্ত রোগীর পিতা কুমিল্লা জেলার সিভিল সার্জনের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগকারী উপজেলার নরপাটি ( তেলিপাড়া) গ্রামের মৃত মমতাজ মিয়ার ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোঃ নজরুল ইসলামের মেয়ে বিলিকিস আক্তারকে গত ২৪-০৭-২০২১ইং তারিখ লাকসাম পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে অবস্থিত মা-মনি লাইফ কেয়ার হাসপাতালে বাচ্চা ডেলিভারির জন্য ভর্তি করান। ভর্তি করার পর ডাঃ মোঃ আবদুল আলী ও জুয়েল তালুকদার মিলে এনেস্থেসিয়া ডাক্তার ছাড়াই সিজার অপারেশন করেন। অপারেশন করার সময় ডাঃ মোঃ আবদুল আলী বলেন রোগীর এপেন্ডিসসাইটিস রয়েছে, বাড়তি ২ হাজার টাকা দিতে হবে, না দিলে রোগীর সমস্যা হবে। রোগীর বাবা বাড়তি টাকা প্রদান করলে সিজার ও এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন করা হয়। অপারেশন করার পর থেকে রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। পেটে পচন ধরে ফুলে যায়। ৪দিন পর মা-মনি লাইফ কেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার কাগজপত্র ছাড়া রোগীকে রিলিজ প্রদান করে। রোগীর অবস্থা আরো অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে হাসপাতালে রোগী মৃত্যু শয্যায় রয়েছে। রোগীর বাবা ডাঃ মোঃ আবদুল আলী ও জুয়েল তালুকদারের অপচিকিৎসার বিচার চান। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডাঃ মোঃ আবদুল আলী প্রায় ১৫বছর ধরে লাকসামে সিজার করে আসছেন। ২০২০সালে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। পরে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি কনসালটেন্ট হিসেবে বদলী করা হয়। বর্তমানে মনোহরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার পদায়ন রয়েছে। এবিষয়ে ডাঃ মোঃ আবদুল আলীর বক্তব্য নেয়ার জন্য একাধিকবার ফোন করা হয়। তার সহকারী পরিচয় দিয়ে একজন ফোন রিসিভ করে জানান- স্যার ব্যস্ত আছেন। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন বলেন, এবিষয়ে আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছি। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।