শীতের আগমন

রেজাউল করিম রোমেল

শীতের সকালে কুয়াশায় আচ্ছাদিত প্রকৃতি,
সূর্যের দেখা নেই।
শিশির সিক্ত পথ ঘাট, গাছ পালা,
হিমেল বাতাসে মিষ্টি মধুর আমেজ।
সবাই রৌদ্রের প্রত্যাশায়।
আবার অনেকে লেপের ভিতর শুয়ে
বিদায় জানায় শীতের সকাল।

বাড়িতে বাড়িতে আগুনের কুন্ডু জ্বালিয়ে
চারপাশে বসে শীত নিবারণের চেষ্টা করে অনেকে।
শীতের পিঠায় কামড় দিতে দিতে
অথবা কোঁচড় ভরা মুড়ি আর
পাটালি গুড় নিয়ে রোদ-কে অভ্যর্থনা
জানায় পল্লী গ্রামে।

কৃষক সবজি বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত।
শিশুরা চাদর মুড়ি দিয়ে যায়
মৌলবী সাহেবের কাছে কুরআন-হাদিস শিখতে।
কুয়াশাকে ভেদ করে পান্ডুবর্ণ সূর্য যখন উকি মারে,
তখন প্রকৃতিকে দারুণ উপভোগ্য মনে হয়।

পত্র-পল্লবহীন গাছপালাকে মনে হয়
অলঙ্কার-শুন্য বিদবা।
নানা শাখ-সবজির সমারোহ,
পৌষ-পার্বনে পিঠা খাওয়ার মহোৎসব চলে
সব জায়গায়।
নদীতে কমে যায় পানি,-
জেলে ভাই মাছ ধরতে ব্যস্ত।

সামর্থবানদের শীতের আমেজের বিপরীতে
অসহায় দরিদ্রদের জীবনে শীতের কামড়
হয়ে ওঠে অসহ্য।
গাম্ভীর্যময় বৈশিষ্ট্যের জন্য
শীতকাল যেকোনো ঋতু থেকে স্বতন্ত্র।