হলে ওঠার দাবিতে কুবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
কুবি প্রতিনিধি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করা ও বিদ্যমান হলগুলোতে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ^বিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের একমাত্র আবাসিক হল নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৮ মে) সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন করেন তাঁরা।
মানববন্ধন শেষে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা। তবে স্মারকলিপি গ্রহণ না করে উপাচার্য তাঁদের ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দফতরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাজ শুরুর ১৮ মাসের মধ্যে প্রকল্প বুঝিয়ে দেওয়ার শর্তে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে আবদুর রাজ্জাক জেবিসিএ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে ১৮ মাসের স্থলে ৬০ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কাজ শেষ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। নির্মাণকাজ তাড়াতাড়ি শেষ করে নিজেদেরকে হলে ওঠানোর জন্য বিভিন্ন সময় দাবি জানিয়ে এসেছিল শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ চলতি বছরের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ঠিকাদার থেকে কাজ বুঝে নিয়ে শিক্ষার্থীদের হলে ওঠানো হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে মে মাসেও নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী কাজী ফাইজা মেহজাবিন বলেন, মেয়েদের একমাত্র হলে একটি বেড দুজনকে শেয়ার করে থাকতে হচ্ছে। আবার চারজনের অনেক কক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থীকেও থাকতে হচ্ছে। অথচ ছ’বছরেও শেখ হাসিনা হলে শিক্ষার্থীদের তুলতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
একই হলের আরেক শিক্ষার্থী অর্পণা দেবী বলেন, প্রশাসন আমাদেরকে সর্বশেষ ৩০ এপ্রিল নতুন হলে শিক্ষার্থী উঠাবে বলেছে, কিন্তু এখনও এর কোনো সমাধান আসেনি। এছাড়া আমরা বিভিন্ন দাবিতে উপাচার্য বরাবর একটা স্বারকলিপি দিতে চেয়েছি, কিন্তু তিনি সেটাও রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ওরা (শিক্ষার্থীরা) হলে ওঠতে চায়, আমিও তুলতে চাই। ওদের সাথে আমার কোনো শত্রুতা নাই। আর স্বারকলিপি গ্রহণ করার তো কিছুই নাই, ওদের দাবিগুলো শুনেছি। আমরা কাজ করছি, আশা করি খুব দ্রুত কাজ শেষ হয়ে যাবে।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আবাসিক হলে ক্যান্টিন ব্যবস্থা চালু, খাদ্যে ভর্তুকি প্রদান ও সাতদিনের মধ্যে ফয়জুন্নেছা হলে পানির সমস্যা সমাধানেরও দাবি করেন মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।