৭০বছরে প্রাচীন সংবাদপত্র কুমিল্লার ‘আমোদ’

মহিউদ্দিন মোল্লা।।
দেশের প্রাচীন সাপ্তাহিক সংবাদপত্র আমোদ। কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রটি সংবাদ ও ইত্তেফাকের পরে নিয়মিত প্রকাশিত ৩য় প্রাচীন সংবাদপত্র। আমোদ তার নিরবিচ্ছিন্ন প্রকাশনার ৭০বছরে পদার্পণ করেছে।


আমোদ পরিবারের সূত্র জানায়,১৯৫৫ সালের ৫মে থেকে কুমিল্লায় মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী ‘আমোদ’ পত্রিকার প্রকাশনা শুরু করেন। আমোদ ছিলো পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম ক্রীড়া সাপ্তাহিক। পরে তা সাধারণ সংবাদ পত্রে রূপ নেয়। প্রথম সংখ্যাটির মূল্য ছিলো এক আনা। ১৯৯৪ সালের ২৮ নভেম্বর মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী মৃত্যুবরণ করেন। এরপর আমোদ প্রকাশনার দায়িত্ব নেন তার সহধর্মিনী শামসুননাহার রাব্বী। শামসুননাহার রাব্বী ২০২১সালের ২৫জুন মারা যান। বর্তমানে ছেলে বাকীন রাব্বী সম্পাদনার দায়িত্বে রয়েছেন। আঞ্চলিক সংবাদপত্র হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার কারণে আমোদ তার যোগ্য স্বীকৃতিও পেয়েছে। জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন ইউনেস্কো এশিয়ার পাঁচটি সেরা আঞ্চলিক পত্রিকার একটি হিসেবে আমোদ স্বীকৃতি লাভ করে।


কুমিল্লার প্রবীণ সাংবাদিক খায়রুল আহসান মানিক বলেন, বৃহত্তর কুমিল্লা তথা বাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর এবং তার আশে পাশের এলাকায় এখন যে সংবাদপত্রের বিকাশ দেখা যায় তার উৎস ‘আমোদ’। এ অঞ্চলে যারা সাহিত্যসেবী হিসেবে সুপরিচিত তারাও আমোদ-এ লিখে হাত পাকিয়েছেন। প্রথম দিকে বৃহত্তর নোয়াখালী ও সিলেটে আমোদ এর সার্কুলেশন ছিলো। গত ৬৯ বছর কুমিল্লা ও আমোদ হাত ধরাধরি করে চলেছে। আমোদ কুমিল্লার শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে ব্যাপক অবদান রেখেছে।
সম্পাদক বাকীন রাব্বী বলেন,প্রতিটি মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠে বলে- একটি নতুন দিনের জীবন পেলাম। তেমনি আমরা প্রতি বৃহস্পতিবার সকালে আমোদ পত্রিকা ছাপা হওয়ার পর হাফ ছেড়ে বলি- আরেকটি সপ্তাহ পত্রিকা প্রকাশ করতে পারলাম। পেশা ও নেশার সাথে সংবাদপত্র প্রকাশনা আমাদের নিকট ইবাদতের মতো। মানুষের ভালোবাসার কারণে এ দীর্ঘ সময়ের পথ পাড়ি দিতে পেরেছি।