নবীনগরে গুলিতে যুবককে হত্যা : চেয়ারম্যান প্রার্থী গুলিবিদ্ধ
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদ মিয়া। ইউনিয়ন এলাকাতেই মোটরসাইকেলে চেপে ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মোটরসাইকেলের চালক যুবক বাদল সরকার। গুলিবিদ্ধাবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদ মিয়াকে। ভয়ঙ্কর ঘটনা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা এলাকার।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে জেলার নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের নাটঘর গ্রামে ঘটে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। নিহত বাদল সরকার (২৫) নাটঘর গ্রামের সন্তোষ সরকারের পুত্র। গুলিতে আহত এরশাদ মিয়া (৩৫) নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের পুত্র এবং আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে পাঠানো হয়েছে ঢাকায়।
নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও গুলিবিদ্ধ এরশাদের বাবা আবুল কাশেম জানান, শুক্রবার রাতে ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামের বাজার এলাকায় ওয়াজ মাহফিল চলছিলো। এরশাদ ও বাদলসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলে করে সেই ওয়াজ মাহফিলে যায়। ফেরার পথে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন বাদল এবং তার পেছনে বসা ছিলেন এরশাদ। রাত ১০ টার দিকে পথিমধ্যে দুর্বৃত্তরা গুলি ছুড়লে সামনে চালকের আসনে বসা বাদল প্রথমে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় এরশাদকে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা উপুর্যপরি গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বাদল সরকার। গুরুতর আহত এরশাদকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেন।
আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আলী হায়দার আল রাজি ওসমানী বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘আহত ব্যক্তির শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে। তন্মধ্যে ডান কাধে ঘাড়ের উপরে এবং বাম কানের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার্থে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে নবীনগর থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের পাকড়াও করার চেষ্টা চলছে।’